|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নর ঘাতক! রচনায়- পবিত্র চক্রবর্তী
প্রকাশের তারিখঃ ৯ মে, ২০২৩
শোন শোন বন্ধুগণ শোন দিয়া মন,
মুক্তি রানী বর্মনের বলিব ঘটন।
কি হইল সবিস্তারে করিব বর্ণন।।
বন্ধু রে....।।
এমন দুঃখের কথা বর্ণননা যায়,
সে সত্য লিখতে গিয়া আমারে কাঁদায়।
কেমনে লিখিবো লেখা অশ্রু পড়ে গায়।। বন্ধু রে....।
নেত্রকোনা জেলাধীন বারহাট্টা থানা,
ইউনিয়ন বাউসী গেলো তাহা জানা।
ছালিপুরের গ্রামে সেই ঘটলো ঘটনা।।
বন্ধু রে।
নিখিল বর্মন নামে সেথা বাস করে,
স্বামী-স্ত্রী সন্তান নিয়া সুখে থাকে ঘরে।
গরীব সরল মনা বলে লোকে জানে।। বন্ধু রে..
মুক্তি নামে এক কন্যা গুণে সীমা নাই,
মেধাবী গুণের তুল্যা আর কেহ নাই।
সকল স্বপ্ন পুরণ করিবে কন্যায়।।
বন্ধু রে!..
সেই আশা বুকে নিয়া কন্যাকে পড়ায়,
শত স্বপ্ন নিয়া মুক্তি বিদ্যালয়ে যায়।
এমনি করে কত কাল গত হইয়া যায়।।
বন্ধু রে!...
উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে দশম শ্রেণিতে,
শত স্বপ্ন নিয়া পড়ে এই অবনীতে।
বড় হয়ে দুঃখ কষ্ট ঘুচাবে পিতার।।
বন্ধু রে!..
পড়ে কি ঘটন হইল বলিব সভায়,
সেই ঘটন লিখিতে বক্ষ ফেটে যায়।
লিখিবো সংক্ষেপে তাহা যদি প্রভু চায়।।
বন্ধু রে!...
একই গ্রামের হয় কাউছার নামে,
সামছু মিয়ার ছেলে বাস এক গ্রামে।
অসুর প্রকৃতি তার জানে সব লোকে।।
বন্ধু রে!
স্কুলেতে যাবার কালে পাছে পাছে ঘুরে,
প্রেমের প্রস্তাবে তারে জ্বলাতন করে।
সম্মান বাঁচাতে মুক্তি ভাবে রাত্র দিনে।।
বন্ধু রে!!
এই ভাবে বহু কাল গত হয়ে যায়,
প্রতুত্তর না পাইয়া কি করিল হায়।
দা নিয়া ঘুরে সদাই কলির চেলায়।।
বন্ধু রে!!...
হতভাগী মুক্তি রানী স্কুল শেষ কালে,
বাড়ি দিকে যাত্রা করে হাসি ভরা গালে।
পরীক্ষা হয়েছে ভালো মনে মনে হাসে।।
বন্ধু রে!!....
এমন সময় আসে পাষণ্ড ঘাতক,
দায়েতে আঘাত করে কলির পাতক।
নিমিষে লুটায়ে পড়ে মুুক্তির শরীর
বন্ধু রে!!
দায়ের আঘাতে মুক্তি ধূলাতে লুটায়,
রক্ত গঙ্গা বয়ে যায় রক্তের ধারায়।
তাহা শুনে কিছু লোকে আসিল হেথায়।।
বন্ধু রে!
পশু পাখি কাঁদে সবে মুক্তির কান্নায়,
তবুও পাষণ্ড মন ফিরে নাহি চায়।
এক নিমিষে সে পাপী দৌড়ায়ে পালায়।।
বন্ধু রে!!
লোক জনে তারাতারি চিকিৎসার লাগি,
হাসপাতালে আনিলে মরিল অভাগী।
তাহা শুনে উচ্চ স্বরে কাঁদিল সকলি।।
বন্ধু রে!
মুক্তির পরাণ পাখি খাঁচা ছেড়ে যায়,
মুক্তির হরিণী আঁখি আর নাহি চায়।
মুদিল জনম তরে বক্ষ ফেটে যায়।।
বন্ধু রে!
মুক্তির মরণ শুনে কাঁদিল পৃথিবী,
কাঁদিল সকল জীবে বৃক্ষ লতা সবি।
মূর্ছিত হইয়া সবে গড়াগড়ি যায়।।
বন্ধু রে!!
প্রশাসন শুনে তাহা ছুটিয়া আসিল,
মুক্তির অবস্থা দেখে তাঁরাও কাঁদিল।
নির্মমতা দেখে প্রভু রক্ত চোখে চায়!!
বন্ধু রে!
প্রশাসন খোঁজা খুঁজি অনেক করিল,
পরিশেষে বৃক্ষ বনে খুঁজিয়া পাইল।
হস্তে দড়ি দিয়া তারে থানায় আনিল।।
বন্ধু রে!
কলির পাষণ্ড সব স্বীকার করিল,
পুলিশের কাছে তাহা সকল বলিল।
নিশ্চিত করে পুলিশ স্বীকারোক্তি পেয়ে বন্ধু রে!!
মানবতা বাদী যত আছে বাংলাদেশে,
একে একে অন্দোলন করে সবে শেষে।
মৃত্যুদন্ড চায় সবে রাজ পথে নেমে।।
বন্ধু রে!
এই মত দুঃখ গাঁথা মুক্তির কাহিনি,
লিখে যাই সূত্র মতে যাহা আমি জানি।
সমাপ্ত করিনু এবে দুঃখের কাহিনি।।
বন্ধু রে!
নামটি আমার কবি পবিত্র ঠাকুর,
বসতি ভিটা হয় রূপসী চাঁদপুর।
ভুলত্রুটি ক্ষমিবেন যত আছে সূর।।
বন্ধু রে!!
লেখা লেখি নাহি জানি না জানি
কবিতা,
জ্ঞান বুদ্ধি নাহি মোর জেনো সবে মিতা।
অধমের রেখো পাশে এইতো প্রার্থনা।।
বন্ধু রে!
"""""" ””""
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.