|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পুর্ব সুন্দরবনের করমজল ইন্টারপ্রিটেশন এন্ড ফরমেশন সেন্টার উদ্বোধন করেছেন – উপমন্ত্রী
প্রকাশের তারিখঃ ৭ মে, ২০২৩
পুর্ব সুন্দর বনের "করমজল ইন্টারপ্রিটেশন এন্ড ইন-
ফরমেশন সেন্টার এর শুভ উদ্ধোধন করেছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার।
৬ মে শনিবার বেলা ১২ টারদিকে উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার করমজল নবনির্মিত বনবিভাগের এ তথ্য কেন্দ্রটির শুভ উদ্ধোদন করেন। এসময় তিনি করম জলের অভ্যন্তরের নলবুনিয়া খালের উপর নির্মিত ঝুলন্ত ব্রিজের ও উদ্ধোধন করেন।এছাড়া করমজল
কুমির প্রজানন কেন্দ্রের প্যানে (কৃত্রিম পুকুর) থাকা
৬টি প্রাপ্ত বয়স্ক কুমির প্রজননের জন্য কেন্দ্রটির বড় পুকুরে অবমুক্ত করেন উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার।
৪টি পুরুষ ও ২ টি মহিলা কুমির প্রজনন পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয় বংশ বিস্তরের লক্ষে।লবন প্রজাতির কুমির সংরক্ষণ ও প্রজননের উদ্দেশ্যেই বনবিভাগ করমজলে কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি গড়ে তুলেছিলেন।
করমজলের এ সকল কার্যক্রমকালে উপমন্ত্রীর সাথে ছিলেন খুলনার বণ সংরক্ষক মিহির কুমার দো, পুর্ব সুন্দরবণ বণবিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন,চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বণ সংরক্ষক রানাদেব ও করম জলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মোঃ আজাদ কবির।
করমজল পর্যটন ও বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মোঃ আজাদ কবির জানান, সুন্দরবনে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন (ইকোট্যু
রিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় এককোটি টাকা ব্যয়ে এ তথ্য কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।এখানে সুন্দরবনের সকল জীববৈচিত্রের তথ্যদি সংরক্ষণ করা হবে।ইতি মধ্যেই এ তথ্য কেন্দ্রটিতে বাঘ,ও কুমিরের স্কেলিটন স্হাপন করা হয়েছে।সংরক্ষণ করা হয়েছে তিমির কংকালসহ পাখি বনবিড়াল,বণমুরগি,অক্টোপাস,সজারু,পোটকা,ফ্লাইংফিস,সামুদ্রিক পোকা।দ্বিতল বিশিষ্ট এ ভবনের তথ্য কেন্দ্রে পুরো সুন্দরবনের গাছপালা, মাছ, পশুপাখি সহ সকল জীববৈচিত্রের প্রতিকৃতি নমুনা মমি স্কেলিটন সংরক্ষণ করা হবে।দর্শনার্থীদেরকাছে উপভোগ্য শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্র হবে এটি
এছাড়া পুরো সুন্দরবণের মধ্যে একমাত্র এ তথ্য কেন্দ্রটিই বণবিভাগে সবচেয়ে বড় স্হাপনা। কবির আরও বলেন,দর্শনার্থীদেরকে এ তথ্য কেন্দ্রে ঢুকতে
ও ঘুরে দেখার জন্য প্রত্যেককেই আলাদা অতিরিক্ত
২৩ টাকা করে দিতে হবে বনবিভাগ কে।যা করমজল ভ্রমন খরচ থেকে আলাদা।
করমজল থেকে উপমন্ত্রী নদীপথে স্প্রিড বোটে করে জোংড়া ও আন্ধার মানিক পর্যটন কেন্দ্রের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.