|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সাভারে সড়কে চাঁদাবাজি থমছে চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই রুবেল মন্ডল-DBO-news
প্রকাশের তারিখঃ ৬ মে, ২০২৩
সাভারে বিরুলিয়া-আক্রাইন সড়কে চলাচলকারী অটোরিকশা ,পিকআপ, কভার ভ্যান, ট্রাক, মিনি ট্রাক থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। প্রায় ২২দিন ধরে চাঁদা আদায় করছেন সাভার পৌর ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুবেল মন্ডল। তিনি প্রতিদিন প্রায় ১৬ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধে ক্ষুব্ধ চালকরা একাধিকবার প্রশাসনের দপ্তরে অভিযোগ দিলেও ফল আসেনি। রুবেল মন্ডল বিরুলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম মন্ডলের চাচাতো ভাই।
ভুক্তভোগী চালকরা জানান,প্রায় চার কিলোমিটার সড়কটিতে অন্তত ৮০০-১০০০ অটোরিকশা চলাচল করে। এ ছাড়া বিরুলিয়া,আক্রাইন,রাজাশন,থেকেও যাত্রী নিয়ে অটোরিকশা মাঝেমধ্যে ভরসা মার্কেট আসে। গাড়িগুলো সাভার বাসস্ট্যান্ডে (ভরসা মার্কেট সামনে) পৌঁছালে সেখানে রুবেল মন্ডলের নেতৃত্বে চাঁদা আদায় করেন। প্রতিটি গাড়ির জন্য ১০ থেকে১৫০ টাকা দিতে হয়। ওই সড়কে যানবাহন চালাতে গেলে তাদের প্রতিদিন টাকা দিতে হয়। কেন এই চাঁদা নেওয়া হচ্ছে তা তারা জানেন না। শুধু জানেন এটা ভাতার টাকা। এ ব্যাপারে বেশি কিছু জানতে গেলে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি মারপিট করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ চাঁদাবাজি চলে আসছে। ভয়ে চালকরা মুখ খুলতে চান না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রুবেল মন্ডলের নেতৃত্বে বিরুলিয়া রোড চাঁদা আদায় করছেন। চাঁদা না দিলে গাড়ি সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে গালাগাল করছেন। অনেক সময় গাড়ির চাবি নিয়ে নিচ্ছেন। নিরুপায় চালকরা টাকা দিয়ে ছাড়া পাচ্ছেন।
অটোরিকশার এক চালক বলেন, ‘২ দিন আগে সাভার গিয়েছিলাম ট্রিপ নিয়ে। ভরসা মার্কেট সামনে গাড়ি আটকে ১০ টাকা নিয়ে নিল। আমি বললাম ভাই আমি এই রোডে গাড়ি চালাই না। কোনো কথাই তিনি শুনলেন না। এক প্রকার জোর করে টাকা নিল।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চালক বলেন,রুবেল মন্ডল বিরুলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম মন্ডলের চাচাতো ভাই । তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার কয়েক মাস পর থেকে চাঁদা আদায় হচ্ছে। তাও প্রকাশ্যে ভরসা মার্কেট সামনে। টাকা আদায় করতে গিয়ে মোড়ে যানজট লেগে যায়। কিন্তু কেউ কিছুই বলে না।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাভার পৌরসভা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল মণ্ডল বলেন, ‘এটা হচ্ছে ইজারাদার নিয়েছে সুলতান ভাই। আমার দায়িত্ব হচ্ছে দেখাশোনা করা।’
এ বিষয় আব্দুল আলীম সোহাগের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এখান থেকে কোনো ইজারা পাইনি। চাঁদা বাজি করার তো প্রশ্নই উঠে না। আমার নাম যারা ব্যবহার করে এগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো: আসাদুজ্জামান, পিপিএম (বার) বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। আমার নলেজে বিষয়টি নেই। তবে অভিযোগ হয়ে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো৷ এ ছাড়াও আমাদের পুলিশের টহল দল আছে, তাদের সামনে বিষয়টি পরলে তারা চাঁদাবাজদের আটক করবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.