|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পাঠান সিনেমায় আমাদের দর্শক সাড়া দিবে না- ডিপজল
প্রকাশের তারিখঃ ৬ মে, ২০২৩
চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল বরাবরই দেশের চলচ্চিত্রের স্বার্থে বিদেশী ভাষা বিশেষ করে হিন্দী ভাষার সিনেমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আসছেন। তার কথা, হিন্দী সিনেমা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে যায় না। আমাদের সাধারণ দর্শক আমাদের দেশের সিনেমা দেখতে পছন্দ করে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও চেনা-জানা পরিবেশ এবং ভাষার সিনেমা দেখতে চায়। তা নাহলে, আমাদের চলচ্চিত্র এত সমৃদ্ধি লাভ করতে পারত না। আগামী ১২ মে দেশে শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ সিনেমাটি মুক্তি পাবে। শুরু থেকেই সিনেমাটির মুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন ডিপজল। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে বক্তব্য দিয়েছেন। ভারতের পত্রিকা ইন্ডিয়ান টাইমস-এও তার বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, হিন্দী সিনেমায় অনেক অশালীন দৃশ্য থাকে যা আমাদের দেশের সংস্কৃতির পরিপন্থী। অনেক তর্ক-বিতর্কের পর অবশেষে ‘পাঠান’ মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিপজল বলেন, আমি মনে করি, ‘পাঠান’ মুক্তি পেলেও সেটা আমাদের দেশে চলবে না। দর্শক সাড়া দেবে না। আমাদের সিনেমার দর্শক আলাদা। সিনেমার মূল ব্যবসা মূলত মফস্বল শহরের সিনেমা হলগুলো থেকে হয়। সেখানেই দর্শক বেশি। তারা হিন্দী বোঝে না। ডাবিং করে চালালেও তা গ্রহণ করে না। সিনেপ্লেক্সের দর্শক আলাদা। সেখানে যে পরিমান দর্শক হয়, তা দিয়ে সিনেমার পুঁজি উঠে না। ইতোমধ্যে এ শ্রেণীর দর্শক ‘পাঠান’ দেখে ফেলেছে। নতুন করে তাদের দেখার কিছু নেই।
ডিপজল বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, ‘পাঠান’ আমাদের দেশে চলবে না। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কারণ, আমি সিনেমা বানাই, বিনিয়োগ করি, সিনেমা চালাই, হল চালাই। আমাদের দর্শক কি সিনেমা দেখতে চায়, আমার তিন দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতার আলোকে আমি দর্শকের চাহিদা বুঝতে পারি। এখনও আমার অভিনীত সিনেমা টিভিতে চালালে দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়ে। হিসাব করলে দেখা যাবে, আমার সিনেমাগুলোর দর্শক সবচেয়ে বেশি। কাজেই, দর্শক কি ধরনের সিনেমা পছন্দ করে তা আমার পক্ষে বুঝতে অসুবিধা হয় না। এই অভিজ্ঞতার আলোকেই বলছি, ‘পাঠান’ কেন অন্য কোনো হিন্দী বা বিদেশী সিনেমা আমাদের দেশে চলবে না।
ডিপজল বলেন, বাংলা ভাষা ও আমাদের সংস্কৃতির প্রতি দর্শকের মায়া বেশি। তারা চায়, আমাদের ভাষায়ই সিনেমা হোক। চলচ্চিত্রের মন্দাবস্থার মধ্যেও এবারের ঈদে ৮টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাগুলো আশার চেয়েও ভাল ব্যবসা করেছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, আমরা দর্শকের মন বুঝে সিনেমা বানাতে পারলে দর্শক সাড়া দেয়। আমার ছয়-সাতটি সিনেমা রেডি আছে। এগুলো একের পর এক মুক্তি দেয়া হবে। আমি মনে করি, এতে দর্শক আরও বেশি হলমুখী হবে। আরও অনেকে সিনেমা নির্মাণ করছেন। এখন সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় যতই হিন্দী বা বিদেশী সিনেমা মুক্তি দেয়া হোক না কেন, সেগুলো চলবে না। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ২০০১ সালে অমিতাভ ও শাহরুখ খান অভিনীত সুপারহিট সিনেমা ‘কাভি খুশি কাভি গম’ সিনেমাও আমাদের দেশে চালানো হয়েছিল। সেটা চলেনি। কাজেই, পাঠানও চলবে না।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.