|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ফসলি জমির মাটি বিক্রি মহোৎসব নাটোরের হালসা-DBO-news
প্রকাশের তারিখঃ ৪ মে, ২০২৩
নাটোরের হালসায় গৌরীপুর গ্রামে অবাধে চলছে ফসলি জমির মাটি কর্তন,বিক্রির মহোৎসব।ভূমি সুরক্ষা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে মাটি ব্যবসায়ীরা।কৃষি জমি কেটে বানানো হচ্ছে গভীর পুকুর।এদিকে একের পর এক কৃষি জমি থেকে এভাবে মাটি কেটে নেওয়ায় কমে যাচ্ছে কৃষি জমি।জমির মালিকেরা মোটা অঙ্কের টাকার লোভে আবাদি জমির মাটি কেটে জমি নষ্টে সহায়তা করছেন।বুধবার ( ৩ মে ) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার নাটোর ৭ নং হালসা ইউনিয়নের গৌরীপুর নিজপাড়া গ্রামে এলাকায় দেখা যায় আবাদি জমির মাটি এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে জমির মাটি টাকার বিনিময়ে একাধিক ব্যক্তির নিকট বিক্রির দৃশ্য।ওই গ্রামের আইনুদ্দিনের বাড়ির নিকটে ফসলি জমিতে কয়েদিন যাবত চলছে মাটিকাটা ও বিক্রির এই কাজ।ঘটনাস্থলে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,জমির মালিক একই গ্রামের আইজ্জা প্ররামানিক এর ছেলে আমজাদ প্ররামানিক (২৫) সহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ব্যক্তি অর্থের বিনিময় মাটি বিক্রি করে আসছে।যার কারণে প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীরা জানান, অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করায় নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি।পুকুর খননের নামে মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বহনের কাজে ব্যবহারিত গাড়িগুলোর ফলে চলাচলে নষ্ট হচ্ছে অন্যন্য আবাদি জমি রাস্তা।বিক্রেতা ও ক্রেতারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা কোনোভাবেই মাটিকাটা বন্ধ করতে পারছি না।তাই আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে মাটি কতর্ন,বিক্রি ও আবাদি জমিতে পুকুর খননের কাজ বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।এ বিষয়ে আবাদি জমিতে পুকুর খননকারী শফিক চেয়ারম্যান বা তার সহকর্মী মজিবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাটি কর্তনের বিষয়ে সরকারি অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,জমির মালিক নিজের জমিতে পুকুর কাটবে,এখানে সরকারি কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।আমি নিজের জমিতে মেশিন দিয়ে মাটি কাটছি,এখন অতিরিক্ত মাটি বিক্রি করবো। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ,এভাবে মাটি কাটার বিষয়গুলো একের পর এক স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও রহস্যজনক কারণে এসব মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। যার কারণে বন্ধ হচ্ছে না কৃষি জমি।অন্যদিকে ট্রাক্টরের টলিতে দিয়ে মাটি আনা-নেওয়ার ফলে গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। অত্র ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামের অটোরিকশা (সিএনজি) চালক মুসলিম উদ্দিন ও ভ্যানচালক ইব্রাহিম মিয়া গাছবাড়ি বাজারের একটি চা স্টলে আলাপকালে বলেন, রাস্তাঘাট যতই ঠিক করা হোক না কেন লাভ নেই,কারণ মাটি বিক্রি বন্ধ না হলে ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ হবে না।ট্রাক্টরের কারণে পাকা সড়কের পিচ উঠে যায় ও গর্ত সৃষ্টি হয়।কাঁচা সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্ত হয়,যা দেখার ও বলার কেউ নেই।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.