|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পটুয়াখালী গলাচিপায় নদী ভাঙ্গনের কবলে রাস্তা আতঙ্কে পুরো গ্রামবাসী-DBO-news
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ এপ্রিল, ২০২৩
পটুয়াখালীর গলাচিপা রামনাবাদ নদীর তীরের কোল ঘেসে গড়ে উঠেছে গলাচিপা উপজেলা সহ বেশ ক'ক'য়েকটি ইউনিয়নের মধ্যে ৬নং ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ।
যেখানে বসবাস করছে ক'য়েক হাজার জনসাধারণ।
রয়েছে লাখো হেক্টের আবাদী ফসলী জমি, ঐতিহ্য বাহি একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির সহ বেচেঁ থাকার একমাত্র কৃষিপণ্যে পানের বরজ, মাছের ঘের, রবিশস্য, ধান সহ কর্মপ্রতিষ্ঠান। যা বর্তমানে প্রতিনিয়োত'ই রামনাবাদ নদীর গর্ভে চলে যাওয়ার শতভাগ হুমকিতে রয়েছে।
বেশ কয়েক বছর যাবৎ ধরে নদীর হুংকারে আর বর্ষা মৌসুমে নদীর স্রোতোবহা বেড়ে গিয়ে নদী ভাঙ্গনের ফলে গলাচিপা উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে চেনা পরিচিত শতবছের বসত ভিটা মাথা গুজার ঠাই।
সরজমিন দেখা যায় ৬ নং ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও রামনাবাদ নদীর কোল ঘেসেই রয়েছে উপজেলা থেকে রাজধানী পর্যন্ত যোগাযোগব্যবস্থা মহাসড়ক। যা ভয়ানক রামনাবাদ নদীর পানির চাপে আর ছোট বড় ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙ্গতে শুরু করেছে। যে কোন মুহুর্তে রাস্তাঘাট নদীর গর্ভে চলে গিয়ে তলীয়ে যাবে ক'য়েক হাজার গ্রাম, মানুষ হারাবে বেচেঁ থাকার সহায়সম্বল, এছাড়া চিরতরে নদীর গর্ভে হারিয়ে যাবে, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব প্রয়াত সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ এর সমাধিস্থল সহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরবে সড়ক পথের যোগাযোগব্যবস্থা। তেমনি দূরদূরান্তের রোগীরা উপজেলায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে না পেরে বাড়বে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি। সড়ক'টি ভেঙ্গে গেলে রামনাবাদ নদীর পানি হু হু প্রবেশ করে তলীয়ে যেতে পারে গোটা ইউনিয়ন।
এবিষয়ে ৬নং ডাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় জানান, গলাচিপা ইউএনও মহদোয়ের নির্দেশে ভাঙ্গণ কবলিত এলাকায় ১ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার নির্দেশ প্রদান করেছেন। সে অনুযায়ী দ্রুত কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটুয়াখালী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন মুঠোফোনে জানান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মহদোয়কে জানিয়েছি, এবং গলাচিপা উপজেলার ইউএনও মহদোয়ের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে । এছাড়া জিও ব্যাগ পানি উন্নয়ন বোর্ড সরবরাহ করেছে। পর্বর্তীতে এবছরেই দ্রুত'ই ঐ স্থানে ২৫০ মিটার জায়গায় নিয়োমানুযায়ী টেন্ডারের মাধ্যমে স্থায়ী ভেরীবাধঁ নির্মাণের কর্মসূচী গ্রহন করা হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন আল- হেলাল জানান, ভাঙ্গণ কবলিত এলাকার জায়গাটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি গুরুত্ব সহাকারে আলোচনা করা হচ্ছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় দ্রুত ভাঙ্গণ রোধ এরাতে ১ হাজার জিও ব্যাগের ব্যাবস্থা করে দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.