ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় চালকে হত্যা করে প্রাইভেটকার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার সহ প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ (২৫ এপ্রিল)২৩ তারিখ মঙ্গলবার বিকাল ৩টার সময় ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আটক কৃতরা হলেন- ঢাকার আশুলিয়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ তপু (৩৩), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার বাগঝাপা এলাকার ওলিয়ার শেখের ছেলে সাব্বির শেখ (১৯), একই জেলার কাশিয়ানী থানার উচু মাজরা গ্রামের মিন্টু মোল্যার ছেলে রানা মোল্যা (২২) ও মেহেরপুরের গাংনী থানার হাড়াভাঙ্গা এলাকার মনিরুজ্জামানের ছেলে মুজিবুল ইসলাম সাইফ (৩০)।
প্রেস ব্রিফিং থেকে জানা যায়,গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মাথুরাপুরের মান্দারতোলা এলাকায় ইটের সলিং রাস্তার ওপর থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অজ্ঞাতনামা মরদেহ শনাক্তের জন্য মধুখালী থানার ফেসবুক পেইজে প্রচার করে। পরে তার নাম-পরিচয় জানা যায়।উজ্জ্বল সরদার (৪৮) নামে এক প্রাইভেটকার চালককে হত্যা করে প্রাইভেটকার ছিনতাইন করে নিয়ে যায়।এরপর থেকে পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়,এরপর সোমবার (২৪ এপ্রিল) দিনগত রাতে ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়,
পুলিশ সুপার মোঃ শাহাজাহান বলেন, আটক কৃত আসামীরা উজ্জলকে ভাড়া কথা বলে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে ধিকে নিয়ে আসে। এরপর একটি রেস্টুরেন্টে খাবারের সাথে উজ্জলকে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়,পরে তারা ফরিদপুরের মধুখালীর উদ্দেশে উজ্জলকে যেতে বলে। পথে তারা গাড়িন থামিয়ে দোকান থেকে রশি কেনে। প্রাইভেটকার চালক উজ্জ্বল শেখ যখন ঘুমের ওষুধের কারণে কিছুটা অচেতন তখনী আসামি নূর মোহাম্মদ তপু আরাফাত মোল্লা ও সাব্বির শেখ গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে উজ্জলকে। এরপর আসামিরা উজ্জ্বলকে হত্যা করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ধাঁরালো ছোরা দিয়ে বুকের বাঁম পাশে ছয়টি আঘাত করে। অতঃপর প্রাইভেটকারটি ছিনতাই করে ঢাকা নিয়ে চলে যায়। পরে এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া এ হত্যায় জড়িত পলাতক আরাফাত মোল্যাকে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো. আবদুল্লাহ বিন কালাম, সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন করসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।