এ ছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত আমন ধানের মৌশুম শেষ হবার পর থেকে উপজেলার ১০ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব শুরু করেছে এক শ্রেণির মাটি ব্যবসায়ী। অসাধু এসব মাটি ব্যবসায়ী পুকুর খননের মাটি ট্রাক্টর দিয়ে বহন করে বিক্রি করছে উপজেলার বিভিন্ন ইট ভাটায়। অভিযোগ রয়েছে, পুকুর খনন প্রতিরোধ বিষয়ে একাধিকবার উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও অজ্ঞাত কারণে নিরব দর্শকের ভুমিকায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কৃষি জমির শ্রেণি পরির্বতন ও পুকুর খননে ১৮৮২ সালের ইজমেন্ট রাইট এ্যাক্ট আইনের ৪ ধারায় এবং এই আইনের ১২ ধারায় বলা হয়েছে, কৃষি জমি এক ফসলি বা একাধিক ফসলি যাহাই হোক না কেন তাহা কৃষি জমি হিসাবেই ব্যবহার করিতে হইবে। তবে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ভূমি কর্মকর্তা বরাবর আবেদনের মাধ্যমে উক্ত ভূমির ব্যবহার গত শ্রেণি পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। বিদ্যমান আইন অমান্য করে ফসলি জমির মাটি কেটে জমির ব্যবহার ভিত্তিক শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি ছাড়াই।
পুকুর খননের সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী অধ্যাপক মাহ্ফুজুর রহমান জুয়েল বলেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই এ কাজ করছেন। তবে কে সেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে চাইলে জুয়েল ওই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগে অবিলম্বে এই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান বলেন পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।