আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাবগম্ভীর পরিবেশে গণহত্যা দিবস উদযাপন করা হয়। দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনতা ব্যাংক লি, বাংলাদেশ বিমান লি., বাংলাদেশ স্কুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সূচনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এরপর গণহত্যার শহীদদের স্বরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয় এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যার উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে অতিথিগণ বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে অভিযানটি পরিচালনার মাধ্যমে তারা স্বাধীনতাকামী ছাত্রজনতার প্রতিরোধকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন যাদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের বিনিময়ে