|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর, মরদেহ আইসিইউতে রাখার অভিযোগ
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ মার্চ, ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ইশতিয়াক আহমেদ ইকরাম (২২) নামে এক তরুণের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
আজ সকালে জেলা শহরের আল খলিল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ইকরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল মালিকের ভাইসহ এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- হাসপাতাল মালিকের ভাই এমদাদুল বশির জয়, হাসপাতালের স্টাফ নাজমুল হক ও আরিফুল ইসলাম।
এদিকে, ইকরামের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে বিক্ষোভ ও পরে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন নিহতের স্বজন ও সহপাঠীরা। দুপুর ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে তারা মানববন্ধনের আয়োজন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, ভুল চিকিৎসায় অপারেশনের পরপরই মারা গেছে ইকরাম। তারপরও তার লাশ আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। শুধু লোক দেখাতে ও অতিরিক্ত বিল করতেই তার লাশ আইসিইউতে পাঠায় ওরা৷ এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
মৃতের স্বজনরা জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে ইকরামের নাকের পলিপাস অপারেশনের জন্য আল খলিল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। এরপর দুপুরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে শনিবার সকালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ইকরামের চাচা অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানিয়েছে যে ইকরামের অপারেশন করেছেন ডা. রাফিউল আলম। কিন্তু, ডা. রাফিউল জানিয়েছেন তিনি কোনো অপারেশন করেননি। ইকরামের সঠিক চিকিৎসা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আল খলিল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাক, কান ও গলা চিকিৎসক রাফিউল আলমের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এদিকে, হাসপাতালের মালিক খলিল বশির মানিকের দাবি, অপারেশন ডা. রাফিউল আলম করেছেন। তার সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, এ ঘটনায় বাদী হয়ে হাসপাতালের মালিক খলিল খলিল বশির মানিক, ইএনটি চিকিৎসক রাফিউল আলম ও অ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক ফৌজিয়া মমতাজ সুপ্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন মৃত ইশতিয়াকের ভাই বাচ্চু মিয়া।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.