|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ইউএনও কাছে সুবিচারের আশায় এসে উল্টো ভয়ে পালান সাধারণ মানুষ
প্রকাশের তারিখঃ ১৬ মার্চ, ২০২৩
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তারুজ্জামানের ক্ষমতার অপব্যবহারে জিম্মি জনপ্রতিনিধি থেকে বিভিন শ্রেণি পেশার মানুষ। ক্রমশ: ফুঁসে উঠছিলেন তারা। এরই মাঝে ঐ কর্মকর্তার বদলীর খবরে আনন্দিত হন তারা। কিন্তু অদৃশ্য কারণে গত ২৪ জানুয়ারি তাকে বদলী করা হয়েছে খবরে সেই দিন থেকেই পালাবদলের অপেক্ষা। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় দুমাস অতিবাহিত হলেও বদলীস্থল রংপুর বিভাগে তার যোগদানের দেখা পাননি জানালেন কয়েক ভূক্তভোগী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা অভিযোগ করে বলেন, সাবেক এমপি, জেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকারের সাথেও অশালীন আচরণ করেন ইউএনও। অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ মানুষজন ইউএনও কাছে সুবিচারের আশায় এসে উল্টো ভয়ে পালান । ইউএনও নাকি তাদের শাঁসিয়েছেন, র্যাপিড আ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব -৯ )এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন সিলেটে। র্যাবের ভয় দেখান, তার অফিসে সরকারি ও কাজে আসা লোকজনকে। সমস্যার কথা বললে অশালীন আচরণ , দুর্ব্যবহার করে শাঁসিয়ে ধমক দিয়ে দূর দূর করে বের করে দেন । রুমে পর্যন্ত ডুবতে বিরত রাখেন অর্থাৎ ঢুকতে দেননা । দেখাও করেন না । অভিযোগ আছে, উপজেলায় অবৈধভাবে নিয়ননীতির তোয়াক্কা না করে আবার কোথাও বৈধভাবে পরিচালিক ইটভাটার মালিকদের ভয় দেখিয়ে সরকারি বিভিন্ন দিবসের নামে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন । ইউএনওর কবল থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেন না স্থানীয় সাংবাদিক গণমাধ্যম কর্মীরাও। সরকারি উন্নয়ন সংবাদ সংগ্রহ গেলে তিনি তাদের সহযোগীতা করেন না । এতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম প্রচারহীন রয়ে আছে । ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠানের ওয়ালে মাটি ঢেলে বিশ্রি কদর্য করেন । র্যাবের ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দেন আটক হেনস্থার । জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সচেতন মহলের কয়েকজন বলেন, তিনি সরকারি চাকরি করেও রাজনীতিতে নাক গলান। গ্রুপিং লোবিং উদ্বুদ্ধ করেন । সরকারি দলে নেতাদের কোনঠাসা আবার জামায়াত সমর্থিতদেরর সুবিধা দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করছেন বলেও অভিযোগ। কুলষিত করেছের রাজনীতির অঙঙ্গন।
সরেজমিনে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে দেখা হয় বৃদ্ধা আমেনা খাতুনের সাথে । অভিযোগ করে বলেন, ইউএনও স্যারের কাছে এসেছিলাম। স্বামী মরে যাওয়ার পর আমি দিশেহারা। সরকারি সাহায্য সহযোগীতা চাই। পুলিশ দেখায় । অফিসে ঢুকতে দেননি।
সাখুয়া থেকে আসা হায়দার আলী অভিযোগ করেন, সমস্যায় পড়ে প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ করেছিলাম । চার মাস অতিবাহিত হয়ে গেল আজো প্রতিকার মিলেনি । আজ দেখা করতে এসেছিলাম বের করে দিলেন । ইউএনও বদলীতে আনন্দিত হলেও ত্রিশাল না ছাড়ায় নিরানন্দের ছাঁয়া তাদের চোখেমুখে ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.