|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
আরশ খান ও তানিয়া বৃষ্টির সামাজিক গল্পের নাটক ‘পাঁজর’
প্রকাশের তারিখঃ ১৫ মার্চ, ২০২৩
বৈশাখী টিভির সামাজিক একক নাটক ‘পাঁজর’। বিআরবি হসপিটাল নিবেদিত নাটকটি প্রচার হবে ১৬ মার্চ রাত ১০.০০টায়। অভিনয় করেছেন আরশ খান, তানিয়া বৃষ্টি, মুন্না আহসান, সিনথিয়া চৌধুরী, জেসমিন, বড়দা মিঠুসহ অনেকেই। রচনা, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা আদিফ হাসান। প্রেম. দ্বন্দ্ব, সংঘাত আর হাস্যরসই নাটকের বিষয়বস্তু । তানিয়া বৃষ্টিকে প্রথম দেখাতেই ফিদা হয়ে যায় আরশ। এরপর ক্লাসে দেখা, দেখা থেকে একটু একটু করে কথা বলার চেষ্টা তারপর প্রেমের অফার। বিষয়টি ভালো লাগেনা না তানিয়ার। ছেলেটির চালচলন, আচার আচরণ বখাটেদের মতো লাগে তানিয়ার কাছে। কিন্তু একদিন ভুল ভাঙে তার। যখন জানতে পারে ছেলেটি আসলে মানবিক মানুষ। যেসব ছেলে টাকার অভাবে পড়তে পারে না, খেতে পারে না, বই কেনার সামর্থ নেই তাদের সবাইকে সাহায্য করে আরশ। এসব দেখে ভালো লাগে তানিয়ার। আরো অজানা জানার কৌতুহল নিয়েই মিশতে শুরু করে তানিয়া। একদিন হাঁটু গেড়ে বসে লাল গোলাপ নিয়ে ভালোবাসার প্রস্তাব দেয় আরশ। তানিয়াও তা গ্রহণ করে। এরপর আরশের খুশি আর দেখে কে? ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সামনে এক বান্ধবীকে বুকে জড়িয়ে ধরে অভিনয় করে দেখায়। দৃশ্যটি এসে দেখে ফেলে তানিয়া। আরশ তানিয়ার সামনে গিয়ে দাঁড়ালে তানিয়া কষে চড় মারে আরশের গালে। তাকে চরিত্রহীন ভণ্ড অপবাদ দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়। এরপর থেকে আর ক্লাসে আসে না তানিয়া। আরশ অস্থির হয়ে পড়ে,তানিয়াকে এক নজর দেখার জন্য বুক চিনচিন করে। হাজির হন যেখানে তানিয়া থাকেন। দেখা হয় তানিয়ার রুমমেট বান্ধবীর সাথে। সে জানায় তানিয়া গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন আর ফিরে আসবেন না। গ্রামের বাড়ি কোথায়? জানতে চায় আরশ। মেয়েটি বলে আমি কিছুই জানিনা। শুধু জানি তাদের বাড়ি মধুপুর। বন্ধুদের নিয়ে মধুপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে আরশ। খুঁজে খুঁজে পেয়েও যান। গিয়ে দেখেন বিয়ের আয়োজন চলছে তানিয়ার। এরা তানিয়ার বন্ধু শহর থেকে এসেছে, ভিতরে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলেন। তানিয়ার সাথে কথা হয় আরশের। কোনভাবেই প্রেম ভালোবাসা নিয়ে কথা বলতে চান না তানিয়া। বলেন, আমি নিজের চোখে যা দেখেছি এরপর আর আরশের প্রতি তার বিশ্বাস নেই। আরশ যতই বলেন, তুমি যা দেখেছ তা ঠিক, কিন্তু তা ছিল অভিনয় আর ভুল। তানিয়ার সাফ জবাব, আমি আমার বাবার মনে কষ্ট দিতে চাইনা। তুমি চলে যাও, আমার বাপ চাচা অনেক ভয়ংকর। তোমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। কিন্তু নাছোড়বান্ধা আরশ কোন ভয় করে না, সে তাকে ছাড়া যাবে না এমন কথা সাফ জানিয়ে দেয়। বিয়ের সাজে তানিয়া, কোন এক ঘটনায় ভুল ভাঙে তার। বাড়ির বাগানে এসে জড়িয়ে ধরে আরশকে। ভালোবাসার কথা জানায়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। মেয়ের জড়িয়ে ধরার দৃশ্য এবং সব কথা শুনে ফেলে বাবা বড়দা মিঠু। তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এভাবেই এগিয়ে চলে নাটকের কাহিনী।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.