|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সারা দেশের ন্যায় গাজীপুর কে.এ.এল উচ্চ বিদ্যালয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ৩ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন
প্রকাশের তারিখঃ ১২ মার্চ, ২০২৩
মো: আতাউর রহমান সরকার ( মতলব উত্তর প্রতিনিধি) : সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর এর গাজীপুর কাদির -আজিজ- লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ ১২ মার্চ বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের লক্ষ্যে তিন ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছে। আজ ১২ মার্চ রবিবার ও আগামীকাল ১৩ মার্চ সোমবার সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন এর আহবান জানানো হয়। এমপিও ভুক্ত শিক্ষক - কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজুটের আহবানে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক - কর্মচারী সহ শিক্ষকদের দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্য ছাত্রছাত্রীরাও অংশ নেন।
উল্লেখ্য এদিকে, গত ৮ মার্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারীকরণের দাবিতে আগামী ১৪ মার্চ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। এর আগে একই দাবিতে আদায়ে আগামীকাল ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাব ও সব জেলা সদরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করবে সংগঠনটি। দাবি আদায় না হলে আগামী ২০ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন বিটিএ নেতারা।
গত বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করে বিটিএ। সংবাদ সম্মেলনে, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করতে মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারীকরণের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। একই সঙ্গে আগামী বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বা জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি মো: বজলুর রহমান মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। একই কারিকুলামে একই সিলেবাসে পাঠদান করিয়েও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। তা ছাড়া বিগত কয়েক বছর যাবত অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কেটে নেয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হলেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা স্মার্ট করতে প্রয়োজন স্মার্ট শিক্ষক। তাই স্মার্ট শিক্ষক পেতে শিক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, ইউনেস্কো ও আইএলওর শিক্ষকদের মর্যাদা বিষয়ক সনদের সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা খাতে বাজেটের ২০ শতাংশ বা জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দের কথা উল্লেখ থাকলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ বা জিডিপির ২ শতাংশের কম বরাদ্দ রাখায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। তাই ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বা জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ রাখার দাবি জানাচ্ছি। পরে সরকারীকরণের দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচিগুলো হলো, ১৩ মার্চ সারা দেশে জেলা সদরে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল এবং জেলা প্রশাসক বা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি দেয়া। ১৪ মার্চ সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনসহ ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং জাতীয়করণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ। ২০ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মহাসমাবেশ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নুরুন্নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জামিল মো: সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অনেকে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.