আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করা হয়েছে। আবুধাবির দূতাবাসের বাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ও জনতা ব্যাংক লি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স,বাংলাদেশ স্কুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিবর্গ অতঃপর শ্রদ্ধাবেদীতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন।
৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সমগ্র বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক পৃথিবীর গুরুত্বপূর্র্ণ দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ আমাদের জাতির জন্য ও বাংলা ভাষার জন্য এক গর্বের বিষয়। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করি যার পুরোধা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
পরিশেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় এবং প্রার্থনা শেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।