|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বসন্ত উৎসব-DBO-News
প্রকাশের তারিখঃ ৬ মার্চ, ২০২৩
----- বসন্ত উৎসব
*******
মহাকাব্য রূপায়ণে
ছন্দ-পয়ার
প্রথমে বন্দনা করি পরম ঈশ্বর।
ভক্তিযুক্ত হয়ে পড়ে পাপী কলেবর।।
তারপরে বন্দি আমি চরণ মাতার।
তার পরে বন্দি আমি চরণ পিতার।।
তারপরে বন্দি আমি গুরুর চরণ।
বন্দিতে বন্দিতে মোর হয় যে মরণ।।
মননে করিয়া আমি রচিব রচনা।
বসন্ত উৎসব মোর যা আছে ভজনা।।
ভজিতে ভজিতে আমি যা বুঝেছি সার।
তাহাই লিখিব আজি যা শক্তি আমার।।
নানান রকম কথা পুরাণে রচয়।
মহামতি ব্যাস যাহা লিখনে ভাবয়।।
ভিন্ন ভিন্ন মতামতে রচিত রচনা।
তাহার অধিক কিছু আমি লিখিবো না।।
প্রথমত রাধা কৃষ্ণ প্রেম গাঁথা দিয়া।
কিঞ্চিৎ লিখিব কিছু মম শক্তি নিয়া।।
রাধার চাইতে কৃষ্ণ বেশী কালো হয়।
সে কারণে রাধা মনে অহংকার রয়।।
তাহা ভেবে মা যশোদা রঙ হাতে নিয়ে।
রাধার বদন রাঙা করে রঙ দিয়ে।।
সেই থেকে হোলি খেলা আজো প্রচলিত।
রঙে রঙে মজে মন গায় নানা গীত।।
অন্যমতে বলি যদি ভিন্ন কথা হয়।
সেই কথা বলে যাব সার্দ্ধে যাহা লয়।।
হিরণ্যকশিপু নামে এক দৈত্য ছিল।
ভগবান খ্যাতি আশে চেষ্টা আরম্ভিল।।
তাঁহার পুত্র প্রহ্লাদ বিপরীতে গিয়া।
বিষ্ণুর ভজনা করে পিতা পাশরিয়া।।
তাহা ভেবে দৈত্য রাজে ক্রোধ নিয়া মনে।
অত্যাচার করে শত প্রিয় পুত্র সনে।।
আগুনে পোড়াতে যায় কুবুদ্ধি করিয়া।
মারিবারে চায় পুত্রে আগুনে ফেলিয়া।।
প্রহ্লাদকে কোলে নিয়া গেলো যে হোলিকা।
অগ্নিতে দহন লাগি দৈত্যের বালিকা।।
যখনি প্রবেশে হোলি আগুন ভিতর।
দৈবের লিখন খন্ডে কোন সে পামর।।
মরিল আগুনে পুড়ে দৈত্যের কুমারী।
বিষ্ণু বরে বেঁচে যায় প্রহ্লাদ পূজারী।।
আরো এক কথা আছে বলি সব ঠাঁই।
ফল্গুচূর্ণ সৃষ্টি তত্ত্ব সবারে জানাই।।
পূর্বকালে দেবাসুরে খুব যুদ্ধ হয়।
ধর্মাধর্ম সেই যুদ্ধে পাপী হয় ক্ষয়।।
সে যুদ্ধে অসুর রক্তে নদী বয়ে যায়।
সেই রক্তে ফল্গুরঙ সৃষ্টি এ ধরায়।।
অধর্ম বিনাশ হেতু ভক্ত শান্তি পায়।
সে কারণে রঙ খেলা সৃষ্টি এ ধরায়।।
বসন্ত উৎসব নামে কেহ কেহ বলে।
বুড়ি ন্যাড়া পোড়া দেয় অনেক অঞ্চলে।।
সেই থেকে হোলি খেলা শুরু হলো ভবে।
হরি গুণ গায় মুখে আনন্দেতে সবে।।
রাধা কৃষ্ণ নিত্য লীলা গায় শুভ ক্ষণে।
দোলের উৎসব করে প্রতি জনে জনে।।
সনাতনী নর-নারী ভাতৃত্ব বন্ধনে।
রঙে রঙে বাঁধা হয় অতিব যতনে।।
হিংসা নিন্দা ধর্ম্ম বর্ণ সব ভুলে গিয়া।
বাঁধা পড়ে প্রেম ডোরে ভক্তি শ্রদ্ধা নিয়া।।
এই মত উপাখ্যান ইতি দিয়া যাই।
হরি বল মুখে মুখে ভজিও গোঁসাই।।
অধম পবিত্রে আজি প্রার্থনা জানাই ।হরি বিনা এ জগতে বন্ধু কেহ নাই।।
যেবা শুনে যেবা গায় হরি গুণ গান।
দেহ বাগে কোণে কোণে জাগে নব প্রাণ।।
হরি বল হরি বল হরি বল ভাই।
অধম জনার বন্ধু চৈতন্য গোঁসাই।।
অজ্ঞ আমি ভব মাঝে জ্ঞান বুদ্ধি নাই।
ক্ষমিবেন ভুলত্রুটি জ্ঞানী সব ভাই।।
অধম নির্বোধ আমি নাই শক্তি বল।
প্রেমানন্দে সবে মিলে হরি হরি বল।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.