|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মামলা জটিলতায় ছেংগারচর পৌর নির্বাচন জুলন্ত, নীরব সম্ভাব্য পার্থীরা
প্রকাশের তারিখঃ ৪ মার্চ, ২০২৩
মোঃ আতাউর রহমান সরকার ( মতলব উত্তর প্রতিনিধি):
মামলার জটিলতার কারণে ছেংগারচর পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে না। ফলে পৌর এলাকার উন্নয়ন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ছেংগারচর পৌরসভাটি, ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তৎকালীন ১ নং ছেংগারচর ইউনিয়নের পুরো অংশসহ কলাকান্দা ইউনিয়ন দুটি গ্রাম ও ষাটনল ইউনিয়নের একটি গ্রাম নিয়ে ছেংগারচর পৌরসভা গঠিত হয়। যার আয়তন ২৭.০৫ বর্গকিলোমিটার। এ পৌরসভায় বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। ভোটার রয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার।
জানা যায়, পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ষাটনল ইউনিয়নের সুগন্ধি গ্রামের কিছু অংশ পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত এবং ওয়ার্ড পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত পৌর নির্বাচন স্থগিতের আদেশ চেয়ে মহামান্য হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করলে ওই রিট পিটিশন মামলা পর্যালোচনা করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশন মতামত দেয় ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় এবং সীমানা সম্প্রসারণ সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম না থাকায় পৌরসভা নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই। ওই মতামত প্রকাশিত হওয়ার পর পরই একটি মহল মহামান্য হাইকোর্টে নতুন করে আবারও পিটিশন দাখিল করলে ঝুলে যায় পৌর নির্বাচন।
এদিকে ২০২২ সালে ৪ মার্চ স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমান পৌর কার্যক্রম চলছে প্রশাসক দিয়ে।
ফলে দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি না থাকায় পৌরসভায় কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে না। এ যেন পিতৃহীন কোন সন্তানের অনুরূপ। তাই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে পৌরসভার উন্নয়নসহ নাগরিক সেবা বাড়বে। তাই এলাকাবাসী চায় জটিলতা নিরসন করে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন এর মাধ্যমে তাদের পছন্দের একজন পৌর পিতা।
এদিকে ২০১৯-২১ সাল নাগাদ সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের হাক ডাক থাকলেও ইদানীং প্রার্থীরা রয়েছে নিশ্চুপ। আলোচিত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে করোনা কালীন ত্রাণ তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু নির্বাচনের তালবাহানার আড়ালে হারিয়ে গেছে সকল কর্মসূচি।
উল্লেখ, ২০২০ সাল নাগাদ তৎকালীন সেনা প্রধানের ভাই আনিস আহমেদ পৌরএলাকার নাগরিক না হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনী প্রচারণায় ছিল বেশ উত্তেজনা। কিন্তু ইদানীং কালে হারিয়ে গেছেন কালের গর্ভে। আলোচিত ডজন খানেক মেয়র প্রার্থীর বর্তমানে জোড়ালো ভাবে মাঠে নাই কেউই।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.