|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
অল্প আয়ের মানুষের জন্য বাজারে ‘হিমশিম খাচ্ছে
প্রকাশের তারিখঃ ৪ মার্চ, ২০২৩
নওগাঁ প্রতিনিধি
অল্প আয়ের মানুষের জন্য বাজারে ‘হিমশিম’
মোটা চাল, মৌসুমের কমদামি সবজি, পাঙাশ-তেলাপিয়া মাছ কিংবা ব্রয়লার মুরগি। ছুটির দিনে অল্প আয়ের মানুষের জন্য এগুলো ভালো খাবার। কিন্তু বাজারে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে এগুলোর কোনো পদ-ই কিনতে গিয়ে স্বস্তি পাবেন না কেউ। বাধ্য হয়ে নিতে হবে আরও কম দামের বিকল্প কোনো নিত্যপণ্য।
কারণ সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম বেড়েছে দেড় থেকে দুই টাকা। শীত শেষ হওয়ায় মৌসুমি সবজিও বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া-পাঙাশের মতো চাষের মাছের কেজিও হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। আর প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, কক মোরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগী ৪০০ থেকে ৪৩০ টাকা
শুক্রবার (৩ মার্চ) নওগাঁর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
মান্দা উপজেলার পরানপুর গ্রামের অটোরিকশাচালক রিয়াজ উদ্দিন সরদার বলেন, “আগে গরিব মানুষ যা খেতো, সেগুলোর দাম বাড়ত কম। এখন সেগুলোর দামই তরতর করে বাড়ছে। দেশে যেন নৈরাজ্য চলছে। বাজারভরা জিনিস কিন্তু দামের চোটে কোনো কিছুই কেনা যাচ্ছে না।”
ওই বাজারে চাল বিক্রেতা করিম মিয়া বলেন, “গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু মোটা চালের দাম দেড় থেকে দুই টাকা বেড়েছে। আগে যে পাইজাম চাল প্রতি কেজি ৫৪ টাকা বিক্রি হতো তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা দরে। বাজারে অনেকের কাছে গুটি স্বর্ণা চাল নেই। মোটা জাতের ওই চালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।”
এদিকে প্রায় মাসখানেক ধরে অস্থির ব্রয়লার ও ডিমের দাম বেড়ে যাচ্ছে দফায় দফায়। বর্তমানে ২৪০ টাকা কেজির এসব মুরগির দাম সপ্তাহ খানেক আগে ছিল ২২০ টাকা। আর এক মাস আগে বিক্রি হতো ১৬০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে ডিমের দাম মাসের ব্যবধানে হালিতে প্রায় ১৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা।
নওগাঁ সদর বাজারের এস এন এন্টারপ্রাইজের কালাম হোসেন বলেন, “তিন দিন আগেও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কম ছিল। কিন্তু শুক্র-শনি ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ে। পাইকারি বাজারে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। গত সোম-মঙ্গলবার ১০-২০ টাকা কমে ব্রয়লার বিক্রি করেছি।”
এদিকে বাজারে মৌসুমের শেষে শীতের সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। আর গ্রীষ্মের যে নতুন সবজি বাজারে এসেছে তাতে হাত দেওয়ার জো নেই। প্রতিকেজি বেগুন ৮০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, পটল ১২০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতি হালি লেবু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও কমেনি আদা-রসুনের দাম। প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১৪০-২৮০ টাকা ও রসুন ১৬০-২২০ টাকা দরে।
পাঙাশ-তেলাপিয়া ছাড়া অন্যান্য মাছের দামও কেজিপ্রতি ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দেখা গেছে। গরুর মাংসের দাম ২০ টাকা বেড়ে বাজারভেদে ৭২০-৭৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
উজ্জ্বল কুমার সরকার ফোন০১৭২৬-৩৭৬২৮২ তারিখ ৪/৩/২৩
নওগাঁ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.