উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলাতে রঙিন পুল কপি বাঁধাকপি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কৃষকরা সারা বছরই তাদের জমিতে নানান ধরনের সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এবার ব্যতিক্রম এক নারী কৃষক স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে রঙিন ফুল কপি ও রুবী কিং বাঁধাকপি চাষ করে চমক দেখিয়েছন এলাকায়।
নারী কৃষি উদ্যোক্তা পান্না বেগম তার ১৮শতক জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগ করে রুবী কিং জাতের লাল রঙের কপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভের স্বপ্ন দেখছেন। তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও।-
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আধাইপুর ইউপির বিষ্ণুপুর গ্রামের পান্না বেগম । তিনি সারা বছরই নানা রকম শাক-সবজির আবাদ করেন।
এ বছর তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ও মৌসুমী নামক এনজিও’র সার্বিক সহযোগিতায় রুবী কিং জাতের কপি চাষ করেছেন। রুবী কিং জাতের ১৮ শতক জমিতে ১৮শ রুবী কিং জাতের লাল বাঁধাকপির বীজ বপন করেন।-
নারী কৃষক পান্না জানান, ১৮ শতক জমিতে সব মিলে তার খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। কোন ধরণের কীটনাশক-সার ব্যবহার না করেই শুধু জৈব সার ব্যবহার করেন তিনি। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর বাগানে আসে রুবী কিং জাতের লাল বাঁধা কপি পরিপক্ব হয়ে উঠে। ২মাসের অধিক বয়সী রুবী কিং জাতের বাঁধা কপি ইতিমধ্যেই বিক্রির উপযুক্ত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রির শুরু করবেন। তার আশা বাগান থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই রঙিন বাঁধা কপি।-
তিনি বলেন, মজার ব্যাপার হলো রঙিন রুবী কিং এসব বাঁধাকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভিড় করছেন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ আবার কেউ কেউ তুলছেন ছবি। তাছাড়া বাজারে নেয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যাবে এসব রঙিন বাধাঁ কপি এমনটাও বলছেন স্থানীয়রা।–
একই এলাকার কৃষক আনোয়ার জানান, আমাদের এলাকায় পান্না বেগম তার বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে রুবীকিং বাঁধাকপির চাষ করেছেন। এসব বাধাঁ কপি আবাদে খরচ কম এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। আগামীতে আমিও আমার জমিতে রঙিন রুবী কিং জাতের বাঁধাকপির চাষ করব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান বলেন, উপজেলার আধাইপুর ইউপির পান্না নামে এক নারী কৃষক শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। তিনি প্রথমবারের মতো রুবী কিং জাতের লালবাঁধা কপি চাষ করেছেন। আশা করছি সে লাভের মুখ দেখবেন ।
তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন লাল বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমাদের মাঠকর্মীরা কৃষকদের সবসময় সহযোগিতা করে থাকে।
সাধারণ কপির চেয়ে উচ্চ ফলনশীল লাল বাঁধাকপির চাহিদা বাজারে বেশি। উৎপাদন খরচও তুলনামূলক খুব একটা বেশি না। কৃষকদের সকল পরামর্শ দিতে স্থানীয় উপজেলা কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকদের পাশে আছে। আমাদের মাঠকর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছে।
উজ্জ্বল কুমার সরকার ফোন০১৭২৬-৩৭৬২৮২ তারিখ ২/৩/২৩
নওগাঁ।