|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বগুড়া ঝুঁকিপুণ ফতেআলী সেতু মরণ ফাঁদ।
প্রকাশের তারিখঃ ১ মার্চ, ২০২৩
বগুড়া শহরের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ফতেহ আলী সেতু। লাখ লাখ মানুষের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সেতু এখন যেন একটি মরন ফাঁদ।জানা যায়, ১৯৬২ সালে করতোয়া নদীর ওপর ৬৮ মিটার দীর্ঘ ফতেহ আলী সেতু নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সে সময় ২০ লাখ টাকায় সেতুটি নির্মাণ হলেওনির্মাণের ৯ বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেতুটির বেশকিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। স্বাধীনতার পর সেতুটি মেরামত করে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আর কোন সংস্কার না করার কারণে সেতুটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হতে থাকে।জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, গাবতলী, ধুনট ও বগুড়া সদর উপজেলাবাসি এই সেতু হয়ে সরাসরি শহরে চলাচল করে থাকে। পূর্ব বগুড়ার লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের ভরসা এই সেতুটি। সেতুটি চারটি উপজেলার মানুষের চলাচলের জন্য অত্যন্ত জনগুরুত্ব বহন করে আসছে। সাধারণ মানুষের যেমন চলাচলের ভরসা তেমনি কৃষিপণ্যসহ সকল প্রকার যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এই সেতুটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারী যানবহন চলাচলে সেতুটি দুলতে থাকতো সে কারণে সেতুটি ২০১৮ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ কারণে সেতুর দুই ধারে খুঁটি পুঁতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাই এই যানবাহন গুলো বউ বাজার হয়ে ৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে আসতে হয়,ফতেহ আলী বাজারের একাধিক ব্যাবসায়ী জানান, ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে মালামাল ৫ কিলোমিটার ঘুরে নিয়ে আসতে হয়, ফলে ভাড়া বেশী দিতে হয় পাশাপাশি সময়ের অপচয় হয়।
স্থানীয় পথচারীরা জানান, সেতুটির দুই পাশে খুঁটি দিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছে। এতে করে শুধু রিক্সাওমোটরসাইকেল চলাচল করতে পারে। সেতুটি সবসময় কাঁপতে থাকে, যেকোন সময় ভেঙে গেলে অনেক প্রাণহানি ঘটবে। সেতুটি নির্মাণ হলে সব ধরণের যানবাহন চলাচল করবে। এতে করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।এ বিষয়ে বগুড়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, দৈনিক প্রতিদিন বাতা কে ২০২১-২২ অর্থ বছরের শেষে সেতুটি নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে কাজ শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.