|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মানববন্ধন ও ঝাড়ু–মিছিল
প্রকাশের তারিখঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মানববন্ধন ও ঝাড়ু–মিছিল
মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগরে মিথ্যা অভিযোগ ও অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়–মিছিল করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।২৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বিবন্দী গ্রামে শত শত নারী-পুরুষ ঘন্টাব্যাপী এই মানবন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি রেজাউল করিম রেজার নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করে জবেদা বেগম ও ছেলে জাবেদ সহ ৪ জনকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়।পরবর্তীতে জবেদা বেগমের লোকজন পোষ্টার ছাপিয়ে তা লাগানোর জন্য ২জন শ্রমীক সাইফুল ইসলাম বাবু ও নাহিদকে পোস্টার লাগানোর দায়িত্ব দেয়। গেল ২১ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে তারা পোষ্টার লাগাতে যাওয়ার পথে টুনিয়া মান্দ্রা ব্রীজ থেকে তাদেরকে আওয়ামীলীগ ক্লাবের কথা বলে ধরে নিয়ে যায় ড্রেজার সিরাজ, মেহেদী হাসান রিয়াজ, ফিরোজ সহ কয়েকজন। এরপর দুজনকে ৪ ঘন্টা আটকে রেখে মারধর করে ২২ পিছ ইয়াবা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে বিষয়টি সাজানো বলে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়,রাতে আবার অজ্ঞাত কারণে তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতির লোকজন তাদের নির্দেশে এসব কাজ করে অনেকের সাথে শত্রুতা করে অত্যাচার করে এলাকাবাসীকে অতিষ্ট করে তুলছে। তাই স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
এ ঘটনায় কুকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু জানান, আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপ, ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্ব। এসব ঘটনায় আমি কোন প্রকার জরিত না। মারামারি হানানহানিতে আমার কোন লোক জন নাই, আমি একাই চলি। যদি আপনাদের তদন্তে আমি কোন প্রকার দোষী হই তাহলে আপনারা আমার বিরুদ্ধে লিখেন।
এ বিষয়ে কুকুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি রেজাউল করিম রেজা জানান, আমি বা আমার কোন লোকজন এসব ঘটনায় জরিত না। তারা মানববন্ধনে আমার বিরুদ্ধে যা বলেছে সব মিথ্যা।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা তাদের ছেড়ে দেই নাই। থানায় মিমাংসার লক্ষে উভয় পক্ষের মুচলেকা নিয়েছিলাম। কারণ এই দুই শ্রমীক হয়রানি হোক এটা চাই নাই। কেউ ছবি তুলে দিয়ে বললেইতো দোষী হয়ে যায় না। যাচাই বাছাই করে মামলা দেওয়ার মত হলে, আমরা মামলা দিতাম। কিন্তু এখন মামলা দিয়ে যাচাইবাছাই করতে হচ্ছে
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.