|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নওগাঁয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফুলের দোকানে উপচেপড়া ভীড় হিমসিম খাচ্ছে ফুল বিক্রেতা
প্রকাশের তারিখঃ ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
ওগাঁয় ফুলের দামের উত্তাপটা একটু বেশি একুশে ফ্রেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নওগাঁর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত হাজারো মানুষ। প্রতি বছরের মতো এবছরও এসব উপলক্ষকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে শহরের পুরাতন হাসপাতাল রোডে ফুলেরবাজার। তবে এবার দামের উত্তাপটা একটু বেশিই মনে হয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায়।--
সরজমিনে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফুলেরবাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং পহেলা ফাগুনের এক সপ্তাহের পর আসছে একুশে ফ্রেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতি বছরের মতো এবছরও এসব উপলক্ষকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ফুলেরবাজার। তবে এবার দামের উত্তাপটা একটু বেশিই অন্যান্য বছরের তুলনায়।--
নানা ধরনের ফুলের সমারোহ। ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা বানিয়ে নিচ্ছেন ফুলের ডালা, তোড়া, কেউ কিনছেন ফুল। সব মিলিয়ে চাঙা নওগাঁর অন্যতম ফুলের এ বাজার। দোকানের পাশাপাশি রাস্তায় বসেও ফুলের ডালা, তোড়া বানাতে ব্যস্ত কারিগররা। পুরান হাসপাতাল রোড এখন ফুলময়।--
কথা হয় কনকচাঁপা পুষ্পালয়ের দোকানি অমিত রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ক্রেতার চেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোম্পানির লোকজন বেশি ফুল কিনছেন। তারা শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে ফুলের ডালা নিয়ে যাচ্ছেন, অনেকে অর্ডার দেন সকালের জন্য। সে অনুযায়ী কারিগররা ব্যস্ত ফুলের ডালা, তোড়া তৈরিতে।--
ফুল ধরে ধরে দাম জানিয়ে ওই ব্যবসায়ী বলেন, গত বছর নওগাঁয় গোলাপের সবচেয়ে ভালোটার দাম ছিল ছিল ১০ থেকে ১৫ টাকা। সেটা এখন ১৫ থেকে ২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গাদা ফুল গত বছর ছিলো পঞ্চাশ পয়সা। সেটা এখন ১ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আমরা গোলাপ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করছি। অর্থাৎ সব ফুলের দাম গত বছরের তুলনায় প্রায় দেঁড়গুণ।
পাশের আরেক ব্যবসায়ী মাধবী ফুল ঘর এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট দোকানি শাহীনুর বলেন, ফুল বিক্রির চাপ পড়ে সন্ধ্যার পর। ফুল, বাঁশের চাটাই আর শোলায় তৈরি হচ্ছে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের তোড়া। এবার বেশি দামে ফুল কিনতে হয়েছে, তাই একটু রকম ভেদে ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা বেশি দামে তোড়া বিক্রি করতে হচ্ছে।
ফুলের তোড়া তৈরিতে নিয়োজিত বাচ্চু বলেন, প্রতি বছর এ সময়ে দোকানদাররা পুরো বছরের ব্যবসা করেন। সে কারণে কাজের চাপও বেশি। সকাল থেকে টানা তোড়ার কাজ করছি। এত কাজের চাপ যে কথা বলার সময়ও পাচ্ছি না। তিনি বলেন, 'ডিজাইন ও আকারভেদে ৭০০ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে ফুলের তোড়া বা ডালা বিক্রি হচ্ছে।
ফুলের তোড়া কিনতে এসেছেন নওগাঁ সদরের তিলেকপুর ইউনিয়নে সৃষ্টি প্রি ক্যাডেট ফতেপুর স্কুলের পক্ষে শিক্ষক মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্কুলের পক্ষ থেকে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে যাব, সে লক্ষ্যেই ফুলের তোড়া কিনতে আসা। দোকানিরা দাম চাচ্ছেন অতিরিক্ত। এরই মধ্যে দরদাম করে এক হাজার পাঁচ শত টাকায় একটা তোড়া কিনেছি।
আত্রাই উপজেলার হাট কালুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষে তোড়া কিনতে আসেন শ্রী শিশির সাহা বলেন,এবার ফুলের তোড়ার দাম অনেক বেশি। মাঝারি আকারের তোড়া তৈরি করে নিলাম আড়াই হাজার টাকা দিয়ে। এবার ফুলের দাম তুলনামূলক চড়া।
যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে পালনে নওগাঁয় কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি এবং বিভিন্ন সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি দিবসটি সুষ্ঠুভাবে পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
উজ্জ্বল কুমার সরকার ফোনঃ০১৭২৬-৩৭৬২৮২ তারিখ ২০/২/২৩
নওগাঁ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.