|| ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ চলছে
প্রকাশের তারিখঃ ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
নীলফামারীর ডিমলায় ব্রীজ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূত রাতের আধারে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাতে ব্রীজের ঢালাইয়ের কাজ করতে নিষেধ করা হলেও তা মানছে না তারা।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের নিজপাড়া এলাকায় ডিমলা-নাউতারা সড়কের খালের ওপর ৬০ মিটার আর সি সি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ কাজটি পায় রহমান-এস হোসেন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।।এতে ৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।কাজের অংশীদারি প্রতিষ্ঠান বিশ্ব ব্যাংক। তবে কাজটি করছেন শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি সাব ঠিকাদার হিসেবে এ কাজ করছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে সরজমিনে দেখা যায়, ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক তখন ব্রীজের পাইলিং ঢালাইয়ের কাজ করছে। পাইলিংয়ের খাঁচায় ৬ ইন্ঞ্চির পরিবর্তে ১০ ইন্ঞ্চি দুরত্বে রড বাঁধা হয়েছে।
সেখানে উপস্থিত নেই প্রকৌশল অফিসের কোন তত্ত্বাবধায়ক।
শ্রমিকরা জানান, ঠিকাদারের লোকজন নির্দেশ দিয়েছে তাই রাতেও কাজ করতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন,প্রকৌশল অফিসের যোগসাজশে বরাদ্দের টাকা লুটপাট করতেই ঠিকাদার গভীর রাতে নির্মাণ কাজ করছে। রাতের আধারে নির্দিষ্ট মাপের চেয়ে ৪/৫ ফুট কম গভীরতায় ব্রীজের মূল পাইলিংগুলো বসানো হয়েছে । এছাড়া রড ও সিমেন্টর পরিমাণ কম দিয়ে ঢালাই কাজ করছে ঠিকাদার। প্রতিবাদ করলে উল্টো হুমকি দেয় ঠিকাদারের লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দা আহাদ আলী জানান, প্রায়ই রাত দশটা থেকে ভোর তিনটা পর্যন্ত পাইলিং এর খাঁচা তৈরি ও ঢালাই কাজ চলে। আবার দিনের বেলা কাজ বন্ধ রাখে তারা। রাতে ঢালাই কাজের সময় প্রকৌশল অফিসের কোন লোক উপস্থিত থাকে না।এই সুযোগে ব্রীজ নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছে ঠিকাদার।
আজিজুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে নির্মাণ কাজ করায় মেশিন আর যন্ত্রপাতির বিকট শব্দে আশেপাশের বাসিন্দারা ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না।
ঠিকাদারের সহযোগী সাইফুল ইসলাম রাতে কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মাঝেমধ্যে কাজ করতে করতে একটু রাত হয়।
সাব ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রকৌশল অফিসের লোকজনের উপস্থিতিতেই রাতে নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে । বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিগন ভিডিও কলে কাজ পর্যবেক্ষণ করছে। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
রাতে ঢালাইয়ের কাজ করার নিয়ম রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেন।
উপজেলা প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে কাজ করার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.