আশুলিয়ায় ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আব্দুল কাদের নামে এক যুবক গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার শিশুটিকে অপহরণ করে তার মা-বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন প্রতিবেশী আব্দুল কাদের। ঘটনায় র্যাবের কাছে অভিযোগ জানান শিশুটির মা-বাাবা। পরে মুক্তিপণ বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন তারা। মুক্তিপণের টাকা ক্যাশআউট করার সময় র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় আবদুল কাদের। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়ার একটি বাড়ি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা, শিশুটি হত্যার আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শিশুর বাবা বাড়ি নীলফামারী জেলায়। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশুলিয়ার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। আশুলিয়ার একই বাসায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন গ্রেফতারকৃত আব্দুল কাদের।
আব্দুল কাদের সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার সায়দাবাদ পূর্নবাসন গ্রামের মো. শাহাদাত হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় রাজু নামে আরেক আসামি ও অজ্ঞাত ৩-৪ জন আসামি পলাতক রয়েছে।
শিশুর স্বজনরা জানান, ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ির উঠোনে মেয়েকে খেলতে দেখে তার বাবা-মা। এর কিছু সময় পর থেকেই নিখোঁজ হয় মেয়েটি। পরে মোবাইলে মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। কয়েক ধাপে কিছু টাকা কয়েকটি মোবাইল নম্বরে পাঠান শিশুর বাবা। এ ঘটনা র্যাবকে জানালে মোবাইলে লেনদেনের সূত্র ধরে আসামির পিছু নেয় র্যাব। পরে র্যাব আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদের আব্দুল কাদের জানান, শিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে অপহরণ কারার পর ও চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরে রাখলে শিশুটি মারা যায়। তার ঘরে খাটের নিচে লাশ রেখে দেয়। পরে লুকানোর কাজে ব্যবহৃত ট্রলিব্যাগ ও বাড়ির চাল থেকে শিশুর পরিহিত জামা, জুতা উদ্ধার করেছে র্যাব।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মামলার এজাহারে শিশুকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানা-পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) জামাল সিকদার বলেন, ‘আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। প্রাথমিক সুরতহালে ধর্ষণের বিষয়টি সন্দেহ করছি, বাকিটা ময়নাতদন্তে জানা যাবে। ধর্ষণের বিষয় নিশ্চিত হলে মামলায় ধর্ষণের ধারাও যুক্ত করা হবে।