মোঃ আলী সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কুলিয়ারচরে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করায় শীতের কাপড় কিনতে লোকজনদের দোকানে দোকানে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। উপজেলার অভিযাত কিম্বা ফুটপাত সবখানেই ভীড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ক্রেতারা শীতের পোশাক কিনছেন। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে শীতের পোশাক কেনাকাটা করছেন কুলিয়ারচর ও আশেপাশের বাসিন্দারা।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। বিশেষ করে কুলিয়ারচর বাজারের ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী দোকানেও বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। যদিও ক্রেতাদের অভিযোগ এবার বিগত বছরের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। ফুটপাতের দোকানগুলোতে তুলনামূলক কম দামে গরম কাপড় পাওয়ায় ক্রেতারা নামিদামী মার্কেটের চেয়ে ফুটপাতের দোকানেই বেশি ভিড় জমাচ্ছেন। ফুটপাতের কিছু কিছু দোকানে মার্কেটের মতো গরম কাপড়ের দাম চাওয়া হচ্ছে বলে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। যদিও নিন্ম আয়ের মানুষের ভরসাই ফুটপাতের দোকান।
রবিবার বিকালে সরজমিনে কুলিয়ারচর বাজার সহ এলাকার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর নারী-পুরুষ, শিশুরাও শীতের পোশাক কিনছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কুলিয়ারচর বাজারে গিয়ে মানুষ কাপড়ের দোকান ও ফুটপাত থেকে শীতের কাপড় কিনছে।
ক্রেতারা দোকানে দোকানে ঘুরে পছন্দের শীতের পোশাকটি কিনছেন। দোকানিরা দাম বেশি চাইলেও দাম দর করেই পছন্দের পোশাক কিনছেন ক্রেতারা। শিশুর জন্য শুয়েটার কিনতে আসা মোছাঃ গোলাপি বেগম নামের এক নারী বলেন, কিছুদিন আগে থেকেই শীত অনুভূত হলেও এখন বেশি শীত পড়ছে তাই আমার মেয়ের জন্য শুয়েটার কিনতে এসেছি। তার জন্য জুতা ও মোজা কিনবো। নিজের জন্যও শীতের কাপড় কিনবো। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এবার গত বছরের তুলনায় দাম অনেক বেশি। আর এখন ক্রেতাদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দোকানিরা দাম কমাচ্ছেন না। যা দাম চাচ্ছে সেই দামেই কিনতে হচ্ছে। তারপরও পছন্দ অনুযায়ী কিনেছি।
শীতের কাপড় কিনতে আসা মোঃ এনামুল হক নামের আরেক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে শীতের পোশাক কিনতে এসেছি। শীত নিবারণের জন্য ছেলেমেয়ের জন্য গরম পোশাক ও স্ত্রীর জন্য কিনেছি। আমার জন্যও জ্যাকেট কিনবো। গত বছরের একই মানের জিনিস একটু বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে।
কুলিয়ারচর বাজার এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে তেমন শীতের পোশাক বিক্রি হয়নি। গত ৫/৭ দিন ধরে একটু বেশি বিক্রি হওয়া শুরু হয়েছে। দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে এ অভিযোগ সত্য নয়। এ বছর সবকিছুর দাম বেড়েছে তাই শীতের পোশাকেও এর প্রভাব পড়েছে। পাইকারি বাজারে কম দামে পেলে কম দামেই বিক্রি করা হয়। শুধু কুলিয়ারচর বাজারেই নয় ডুমরাকান্দা বাজার, আগরপুর বাজার, লক্ষীপুর বাজার সহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। ফুটপাত ছাড়াও নামিদামী মার্কেটগুলোতেও শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে শীত নিবারণে কম্বল বিক্রিও বেড়েছে।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলেতে ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।