মোঃ আলী সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক, আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে, তিন মাস ৬ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। ৮ টি দান বাক্স থেকে ছোট বড় ২০ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। দান সিন্দুক খোলার পর টাকা, দিনব্যাপী গণনার কাজ চলছে।
টাকা গণনা কাজ তদারকি করছেন সিনিয়র সহাকরী কমিশনার অহনা জিন্নাত, শেখ জাবের আহমেদ, সুলতানা রাজিয়া, সহকারী কমিশনার নাবিলা ফেরদৌস, মাহমুদুল হাসান, রওশন কবীর, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকেই।
সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। এবার তিন মাস ৬ দিন পর মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে বিকেলে কতো টাকা পাওয়া গেল তার হিসাব পাওয়া যাবে।
এর আগে, সর্বশেষ গত বছরের ১ অক্টোবর মসজিদের দানবাক্স খুলে ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। দিনভর গুনে তিন কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া যায়। তখন তিন মাস এক দিনে এই টাকা জমা পড়েছিল। এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গা নিয়ে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়।
এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্ত থেকে মুসলিম ছাড়া ও অন্যান্য ধর্মালম্বী মানুষ জনও এখানে মানত করতে আসেন।