|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেনে বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশের তারিখঃ ৪ জানুয়ারি, ২০২৩
শাস্তি থেকে বাঁচতে অধ্যক্ষের পুনরায় অনিয়ম,নানা যড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন, নওগাঁর ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত "বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজ" এর বার বার সমালোচিত অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন (আরবি বিষয়) নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য ও চাকরি বাচাঁতে পুনরায় কলেজে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম, নানা ষড়যন্ত্র মিথ্যা অপবাদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলে জানা গেছে।
অধ্যক্ষের অনিয়ম ও জালিয়াতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
(১) জানা যায় গত ০১/০৪/২০১৫ তারিখে প্রতাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পত্রিকা দৈনিক সমকাল ও সানশাইনে উল্লেখিত বিষয় অধ্যক্ষ পরবর্তীতে গোপনে পরিবর্তন করেছেন।
(২) শিক্ষক নিয়োগের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গত ২৮/০৬/২০১৫ তারিখের মনোনয়ন চিঠি অধ্যক্ষ জাল করে তৈরী করেছেন।
(৩) ডিজি'র প্রতিনিধির গত ২৬/০৭/২০১৫ তারিখের চিঠি অধ্যক্ষ জাল করেছেন। প্রকৃত নিয়োগ হয়েছিল তিনটি বিষয় কিন্তু অধ্যক্ষ পরে গোপনে জাল করে আটটি বিষয় বসিয়ে চিঠি তৈরী করেছেন।
(৪) গত ৩১/০৭/২০১৫ তারিখের সিএসকপি (সাক্ষাৎকার বোর্ডের ফলাফল সীট) অধ্যক্ষ জাল করে তৈরী করেছেন।
(৫) কলেজ গভর্নিং বডির গত ২২/০৮/২০১৫ তারিখের মূল রেজুলেশন অধ্যক্ষ ব্যাপক কাটাকাটি করে তথ্য পরিবর্তন করেছেন। অর্থাৎ প্রকৃত নিয়োগ হয় তিনটি বিষয় কিন্তু অধ্যক্ষ জাল করে মূল রেজুলেশন কাটাকাটি করে তিনটির পরিবর্তে আটটি বিষয় লিখে বিধিবর্হিভূত নিয়োগ দেখায় অধ্যক্ষ।
(৬) গত ৩১/০৮/২০১৫ তারিখের সঠিক নিয়োগ পত্রের পদ অধ্যক্ষ পরিবর্তন করেছেন।
(৭) শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের গত ২৯/০৪/২০২০ তারিখের (বৈধ স্মারক নং ৩৭.০০.০০০০.০৭৪.০০২.০০২.২০১৯(অংশ -৫).৮৩ এটা কিন্তু অধ্যক্ষ গত ০২/০৫/২০২০ তারিখের অগ্রায়ন পত্রে এই স্মারক না লিখে ভুয়া এই ৩৭.০২.০০০০.১০২.৯৯.০০১.২০.১৪ স্মারক নং লিখেছেন। যা অনেক বড় অপরাধ।
বর্তমানে অধ্যক্ষের যড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহারঃ
জানা গেছে যে, অধ্যক্ষের জালিয়াতির বিষয়টি এখন মাউশি অধিদপ্তরে ঢাকায় কাজ চলমান রয়েছে। অধ্যক্ষের শাস্তি হবে জেনে অধ্যক্ষ এখন নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য ও চাকরি বাচাঁতে আইন ও নিয়মের সাথে না পেরে আইন ও মাউশি অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে অবজ্ঞা করে বর্তমানে কলেজে বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীর সাথে পুনরায় অনিয়ম, নানা ষড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলে জানা গেছে। আরো জানা যায় প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলী তিনি কলেজে উপস্থিত হওয়ার পরেও অধ্যক্ষ হাজিরা খাতা গোপন করেন এবং এরশাদ আলী কে স্বাক্ষর করতে বাঁধা প্রদান করেন ও স্বাক্ষর করতে দিচ্ছেন না বেশ দিন থেকে। জানা যায় যে অধ্যক্ষ কাগজ কলমের ক্ষমতা দেখিয় এরশাদ আলী কে কলেজের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। অধ্যক্ষ যড়যন্ত্র করে এরশাদ আলী পাগল, মাথা টালমাতাল, অকথ্য ভাষা ও নানা উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছেন। অধ্যক্ষ যড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এরশাদ আলীর বিষয় অর্থনীতিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাতে নিষেধ করছেন ও অর্থনীতিতে ভর্তি শুন্য করে দিচ্ছেন। এমন কি অর্থনীতিতে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীর নাম ভর্তি রেজিস্ট্রার থেকে লাল কালি দিয়ে গোপনে কেটে অধ্যক্ষ বাদ দিচ্ছেন। অধ্যক্ষ বর্তমানে এরশাদ আলী কে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। যার জন্য প্রভাষক এরশাদ আলী অনেক শঙ্কায় আছেন।
আরো জানা যায় যে, অধ্যক্ষ বর্তমানে কলেজে সময় মত না এসে গোপনে মাঝে মধ্যে অল্প সময়ের জন্য কলেজে আসেন। অধ্যক্ষ এখন কলেজের অর্থ অপচয় ও নষ্ট করছেন এবং ছোটাছুটি করছেন শুধু নিজের চাকরি বাঁচাতে।
কলেজ এলাকা বাসীর অভিমতঃ
অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি,কলেজের অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বানিজ্য ও নিয়োগ জালিয়াতি দেখে কলেজ এলাকার সর্বস্তরের আমজনতা আফসোস করছেন এবং অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আলোচনার ঝড় তুলেছেন এবং লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর ও বিভিন্ন দপ্তরে। আমজনতার দাবি কলেজের স্বার্থে দূর্নীতি বাজ ও বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনের স্হায়ী বরখাস্ত দাবি করছেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট। সেই সাথে ভুক্তভোগী শিক্ষক মোঃ এরশাদ আলীর বেতন ভাতা চালুর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করছেন কলেজ এলাকা বাসী।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.