শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘২০২৩ সালে প্রাথমিকের বইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে যাবে। সারা বছর আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নিব এবং ২০২৪ সালে যে বইগুলো যাবে সেখানে পরিমার্জন, সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন যা দরকার তা করে নিব। তাছাড়া বই ছাপার মধ্যে সমস্যা হলে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত থাকে। কোনো ভুল হলে আমরা সেগুলো সংশোধন করে শিক্ষকদের নিকট পৌঁছে দিবো।’
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সমাবেশে বই ছাপাতে ভুল সংশোধন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিগত ২০২১ সালের বইগুলোতে অনেক ভুল ছিল। আমরা সেগুলো অতিমারির সময় অনেক কাজ করে সংশোধ করেছি। যে কারণে ২০২২ সালে তেমন ভুল ছিল না। এ বছর আশা করছি তেমন ভুল হবে না। যদি হয়, তাহলে আমরা সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করার চেষ্টা করব।’
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা নতুন শিক্ষক্রম নিয়ে সারাদেশব্যপী সমস্ত শিক্ষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আবার যারা প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন, তাদেরকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আর এই প্রশিক্ষণ চলছে অনলাইনে। যারা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তারা যখন নতুন বই পেয়ে পাঠদান করবেন প্রথম ৫দিন তাতে ভুল ত্রুটি সমস্যাগুলো দেখবেন। বন্ধের দুইদিন সেগুলো আবার শিখে নিবেন। এই ভাবে তারা এগিয়ে যাবেন। শিক্ষাকরা কিভাবে ক্লাশ নিবেন সে বিষয়ে আমরা একটি গাইড লাইন দিয়েছি। শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন হওয়ার কারণে শিক্ষকদের ভূমিকাও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এ কারণে তারা ৫ দিন ক্লাশের পর দুইদিন প্রশিক্ষণ পাবেন। অনেকের ধারণা ছিল অনলাইনে ভাল প্রশিক্ষণ হয়না, কিন্তু এখন সেই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা সরাসরিও প্রশিক্ষণ দিব, তবে বেশি দূরে যেতে হবে না। সর্বোচ্চ উপজেলা পর্যায় এসে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।’
এ সময় চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসসহ জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।