নওগাঁর মান্দায় একটি মসজিদের জমা করা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে একপক্ষ অন্যপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। কমিটি নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনভর অন্যপক্ষ এলাকায় মাইকিং করে।
উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দুর্গাপুর পশ্চিমপাড়া মসজিদের এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জের ধরে যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে নতুন ঈদগাহ তৈরিকে কেন্দ্র করে বিগত কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ মোল্লার সঙ্গে গ্রামের ওয়াহেদ আলী গংদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। জের ধরে পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত করে আক্তার হোসেনকে সভাপতি, আবুল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ও কায়েম উদ্দিনকে কোষাধ্যক্ষ করে ১১ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করে গ্রামের মুসল্লিরা।
মসজিদের নতুন কমিটির সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, সাবেক কমিটি হিসাব-নিকাষ দিতে টালবাহানা করায় নওগাঁ আদালতে মামলা করা হয়েছিল। মামলায় সাবেক সভাপতি আব্দুস সামাদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়ার আলী মাষ্টার ও কোষাধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে বিবাদী করা হয়। পরে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় পুরাতন কমিটি মসজিদের পাওনা ৪ লাখ টাকাসহ জমির কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়ায় আদালতে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আপোষনামা দাখিল করা হয়েছে।
সভাপতি আক্তার হোসেন আরও বলেন, মসজিদের মুসল্লি ওয়াহেদ আলী, কায়েম উদ্দিন, আবুল হোসেনসহ তাদের সহযোগীরা উক্ত আদায়কৃত টাকা হেফাজতে নিতে আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় অপপ্রচারসহ বিভিন্নভাবে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তারা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওয়াহেদ আলী ও তার আত্মীয়-স্বজনরা মসজিদের ২ বিঘা ৫ কাঠা জমি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে দখলে রেখে চাষাবাদ করছেন। এছাড়া মসজিদের ৫৫ হাজার টাকায় আব্দুর রহমান ও কায়েম উদ্দিনের কাছ থেকে আরও ১৩ কাঠা সম্পত্তি বন্ধক নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা ওইসব জমির কোন ফসল মসজিদ কমিটির কাছে বুঝিয়ে দেননি। এতে করে তারা মসজিদের অন্তত দেড় লাখ টাকা আত্মসাত করেন। ঘটনায় তাদের বিচার দাবিতে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
মৈনম ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সামাদ প্রামাণিক বলেন, দুর্গাপুর পশ্চিমপাড়া মসজিদের ৪ লাখ টাকার মধ্যে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আমার কাছে জমা আছে। অবশিষ্ট ৫০ হাজার টাকা ঈদগাহ মাঠ সংস্কারের জন্য সভাপতি আক্তার হোসেনকে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে বক্তব্য দেওয়া আব্দুস সোবহান ও কায়েম উদ্দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে সটকে পড়েন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে