এ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যের বিশ্বব্যাপী মূল্যায়নে “বিশ্বরঙ” এর পথচলা সুদীর্ঘ ২৮ বছরের।এদেশের অন্যতম ফ্যাশন ব্যান্ড “বিশ্বরঙ” ১৯৯৪ সাল থেকে ভিন্নধর্মী কাজের জন্যই ফ্যাশন সচেতনদের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সিক্ত। বিগত সময়ে বাংলাদেশের ফ্যাশন জগতে ফ্যাশন সচেতনদের জন্য অন্তঃপ্রান প্রচেষ্টার ফসল । এ দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য শখের হাড়ি, মুখোশ, নকঁশী পাখা, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলার পটচিত্র, বাংলা পঞ্জিকা, ঐতিহ্যে বাংলা সিনেমা, পানাম নগর, কান্তজী মন্দিরের টেরাকোটা, রিকশা মোটিফ সহ আল্পনার মত মহামূল্যবান মোটিফকে পোশাকের অলংকরন হিসেবে ব্যবহার করে দেশীয় ফ্যাশনকে ইতিহাস ঐতিহ্যের মিশেলে নিয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমৃদ্ধির শিখড়ে। ২৮ বছরে আজকে যে “বিশ্বরঙ” তার শুরুটা বলতে গেলে মর্মে লাগার মতোই। কালক্রমে সেই রঙ ছড়িয়েছে কর্মে। ভরিয়েছে সকল গুনগ্রাহির আবরণ এবং মননে। একদিন শখের বসেই দেশীয় আত্মপরিচয়ের মূল্যবোধ থেকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে শুরু হয় ১৯৯৪ সালে ১০০ স্কয়ার ফুটের একটা ছোট দোকান নিয়ে রাতারাতি সাফল্য যে আসে তা কিন্তু নয়। কিন্তু ক্রমেই নামটা ছড়িয়ে যায় মানুষের মুখে মুখে। ঐ সময়ের চারুকলার শিক্ষক মরণ চাঁদ পালের কাছ থেকে তার তৈরী সিরামিকসের সামগ্রী নিয়ে এসে বিক্রি হলে দাম দিয়ে আবার নতুন সামগ্রী কিনে আনা হত। এভাবেই চলতে থাকে এই সিরামিকসের আর্ট পিস গুলো, সাথে বিয়ে বাড়ীর ষ্টেজ ও আল্পনার কাজ। ক্রমেই বাড়ে এর চাহিদা। তখনও দোকানে কাপড়ের প্রবেশ ঘটেনি। সেটা আসতে সময় নেয় আরও কিছু দিন। ১৯৯৫ সালে শাড়ি স্থান পায় সিরামিকসের আর্ট পিস গুলোর পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান পন্যের তালিকায়।
দীর্ঘ ২৮ বছরের পথচলায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞ্যাপন করে “বিশ্ব রঙ” এর কর্ণধার বিপ্লব সাহা বলেন, ফ্যাশনের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের প্রচার, প্রচারনার যে প্রচলন শুরু হয়েছে তা এদেশের চলচ্চিত্র এবং ফ্যাশন ইন্ডাষ্ট্রীতে আমরাই পথিকৃত। “বিশ্ব রঙ” এর সৃষ্টিশীলতা সবসময়ই সুস্পষ্ট এবং স্বতন্ত্র। আমরা আমাদের স্থানীয় কারিগর, তাঁতি, সূচীশিল্পী, কারুশিল্পীদের সাথে কাজ করি এবং বিস্ময়কর ভাবে প্রাণবন্ত সংগ্রহের পরিসীমা অতিক্রম করি ফ্যাশন প্রেমীদের অভিন্ন নিরবচ্ছিন্ন চাহিদাকে। আমাদের নকশাগুলি আমাদের লোক সংস্কৃতির ঐতিহ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত যা ঐতিহাসিক ভাবে দক্ষতার উৎস হিসাবে একটি নির্ধারিত ভূমিকা পালন করে আসছে সুদীর্ঘ ২৮ বছর ধরে। সর্বপরি এদেশের সাধারন মানুষরাই আমাদের সৃষ্টির এক মহান অনুপ্রেরনা। এই সুদীর্ঘ সময়ের পথচলায় “বিশ্বরঙ”- এর পাশে ছিলেন সাংবাদিক বন্ধুরা, বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীরা, মিডিয়া তারকারা, অভিনেতা, অভিনেত্রী, মডেল সহ নানা শ্রেণির সাধারণ শুভানুধ্যায়ীরা। তাদের প্রতি অকৃত্রিম অশেষ কৃতজ্ঞতা। ‘বিশ্বরঙ’ পরিবার সবসময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে শুভানুধ্যায়ীদের। শুভেচ্ছা সবসময়ের।