|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ইতিহাসের ৩৬ বছরের অপেক্ষা শেষে বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার ঘরে
প্রকাশের তারিখঃ ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২
কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপে ৩৬ বছরের অপেক্ষা। সেই অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে চরম নাটকীয়তার এক ফাইনাল শেষে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় বিশ্বককাপ শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা।
আজ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ফাইনালে মাঠে নামে দু'দল। ম্যাচের ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। এরপর ম্যাচের ৩৬ মিনিটে আর্জেন্টিনার লিড বাড়িয়ে দেন ডি মারিয়ে।
এরপর আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতি থেকে ফিরে জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরায় কিলিয়ান এমবাপ্পে।
শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ফাইনাল ম্যাচটি। অতিরিক্ত সময়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় দু'দল। তবে অতিরিক্ত সময়ের বিরতি থেকে ফিরেই মেসির গোলে লিড পায় আর্জেন্টিনা। এরপর পেনাল্টি থেকে গোল করে আবারও ফ্রান্সকে সমতায় ফেরায় এমবাপ্পে।
এরপর টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা।
অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। তবে কাজে লাগাতে পারেনি তারা। এরপর ম্যাচের ৯৪ মিনিটে আক্রমণে যায় ফ্রান্স। তবে তা ক্লিয়ার করে দেন ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের ৯৮ মিনিটে ডি পল ক্রস করলেও তা চলে যায় সাইড লাইনের বাইরে।
এরপর ম্যাচের ৯৯ মিনিটে কোম্যান ক্রস করলেও তা নিজের দখলে নেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ম্যাচের ১০০ মিনিটে বাম দিক থেকে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। সেখান থেকে কোম্যানের নেওয়া দেড করে ক্লিয়ার করলেও কর্নার পায় ফ্রান্স। তবে কর্নার কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
ম্যাচের ১০৪ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করেন আকুনা। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ১০৫ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। লাওতারো মার্টিনেজের নেওয়া শট আটকে দেন দায়ত উপামেকানো। এরপরে শট করলেও তা হেড করে ক্লিয়ার করেন রাফায়েল ভারানে। শেষ পর্যন্ত কোন গোল না হলে সমতায় থেকে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষ করে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স।
অতিরিক্ত সময়ের বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। তবে জায়গা ছেড়ে বেড়িয়ে এসে ক্লিয়ার করে দেন হুগো লরিস। এরপর মেসির নেওয়া শটও আটকে দেন লরিস। ম্যাচে ১০৮ মিনিটে গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করে বল জালে জড়ান লিওনেল মেসি। তার গোলে ম্যাচে ফের লিড পায় আর্জেন্টিনা।
এরপর গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ফ্রান্স। ম্যাচের ১১৫ মিনিটে কর্নার পায় ফ্রান্স। সেখান থেকে ম্যাচের ১১৬ মিনিটে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে ফের গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরায় এমবাপ্পে। সেই সঙ্গে নিজের হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন এমবাপ্পে। এরপর ম্যাচের ১১৯ মিনিটে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে অসাধারণ সেভে দলকে রক্ষা করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ফাইনাল ম্যাচ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.