সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে অনন্য ভূমিকা রাখে, শামসুদ্দীন শিশির
যীশু সেন: ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শিক্ষক প্রশিক্ষক, শিক্ষা চিন্তক ম.আ.স. শামসুদ্দীন শিশির বলেন, সৃজনশীলতা মানুষের সহজাত। প্রয়োজন সংস্কৃতির বিকাশ। এগিয়ে আসতে হবে পরিবার, সমাজ, সামাজিক সংগঠক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। নির্মল আনন্দ ছড়িয়ে দিতে হবে শিশু-কিশোরদের মাঝে যারা আগামীর পৃথিবী। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে অনন্য ভূমিকা রাখে।
দৈনিক বাংলার অধিকারের সর্বশেষ সংবাদ থেকে ক্লিক করুন www.dainikbanglarodhikar.com
শামসুদ্দীন শিশির গত ১৭ ডিসেম্বর শনিবার বিকাল ৫ টায় নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট (টিআইসি) মিলনায়তনে বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের ১৮ বছর পূর্তিতে সংগীতশিল্পী রিষু তালুকদারের উচ্চাঙ্গসংগীত বিষয়ক গ্রন্থ “সুর সম্ভার” এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলনের প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
১৭ ও ১৯ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলনের প্রথম দিনে উদ্বোধক ছিলেন ভারত থেকে আগত বিশিষ্ট তবলা শিল্পী পণ্ডিত বিপ্লব ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন সংগীত ও বাদ্যযন্ত্র শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং স্নায়ুবিক কর্মদক্ষতা বাড়ার ফলে লেখাপড়ায় ভালো করতে তা সহায়তা করে। বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার। তিনি বলেন, সংস্কৃতিচর্চা শিশুর চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায়, শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি দরকার সহশিক্ষা কার্যক্রম। বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের সভাপতি লায়ন কৈলাশ বিহারী সেনের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কণ্ঠশিল্পী রিষু তালুকদার। বাচিক শিল্পী শান্তুনু মিত্রের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলনের সমন্বয়ক যীশু সেন, আহ্বায়ক প্রকৌ. রিমন সাহা, সদস্য সচিব প্রিয়তোষ নাথ প্রমুখ।
শামসুদ্দীন শিশির আরো বলেন, আজ যারা উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন আয়োজন করেছেন তাদের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য যোগ্য করে তুলতেও সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা চাই একটা অসাম্প্রদায়িক ইতিবাচক সুন্দর সমাজ। আমার বিশ্বাস আমাদের সন্তানদের সেই যোগ্যতা আছে।
শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন সুরবন্ধু অশোক চৌধুরী, রাগ দরবারী, তবলায় রোমেন বিশ্বাস রাজু, তানপুরায় সৌমি চক্রবর্ত্তী। যুগলবন্দি পরিবেশন করেন মৌ দাশ ও প্রিয়ন্তী দাশ, রাগ-মারু বেহাগ, তবলায় অমর্ত্য চক্রবর্ত্তী, তানপুরায় মীম ভট্টাচার্য্য। মশিউল আনোয়ার খান রাগ ভূপালী, ত্রিবট, তবলায় পলাশ দে, তানপুরায় রাত্রি ধর। সাইফুল ইসলাম, রাগ মিশ্র সোহিনী শ্রুতিগীতি, তবলায় পলাশ দে, তানপুরায় মীম ভট্টাচার্য্য। যুগলবন্দি পরিবেশন করেন সানি ধর ও বিজয় দেবনাথ, রাগ মিশ্র কাফী, ঠুমরী, তবলায় পলাশ দে, তানপুরায় মণিষা সরকার। রাজীব মজুমদার, রাগ রাগেশ্রী খেয়াল, তবলায় সানি দে, হারমোনিয়ামে লিটন সেন। যুগলবন্দি পরিবেশন করেন ডা. সৌমিত্র দাশ ও রক্তিম ধর, রাগ চন্দ্রকোষ খেয়াল, তবলায় পলাশ দে, তানপুরায় মণিষা সরকার। শিমুল দাশ, রাগ যোগ খেয়াল, তবলায় পলাশ দে, হারমোনিয়ামে রিয়া দাশ। বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের অগ্রজ ও অনুজ শিল্পীদের দলীয় পরিবেশনায় ছিল- চতুরঙ্গ রাগ মারোয়া, ধ্রুপদ রাগ শংকরা, তবলায় পলাশ দে। রচনা ও সংগীত পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রিষু তালুকদার। অনুষ্ঠানে অতিথিমণ্ডলী ও অতিথিশিল্পীবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।