|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
গৌরীপুরে মুক্তিযুদ্ধের ৫১ বছরেও নির্মিত হয়নি ব্রিজ- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রামগোপালপুর ইউনিয়নের চৌকা বিলের ওপর নির্মিত একটি পাকা সেতু ধ্বংস করে দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর প্রায় ৫১ বছর কেটে গেলেও ওই স্থানে নির্মিত হয়নি ব্রিজ। দুই পাড়ের বাসিন্দারা ব্রিজের সংযোগস্থলে সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন উক্ত গ্রামের লোকজন।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের শিবপুর ও বলুহা গ্রামকে বিভক্ত করেছে চৌকা বিল। ওই দুই গ্রামের সংযোগস্থলে ছিল পাকা সেতু। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে পাশ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জে পাকবাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণের সময় ডিনামাইট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওই সেতুটি ধ্বংস করে দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধের পর ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের উদ্যোগে পারাপারে সুবিধায় ব্রিজের সংযোগস্থলে লোহার পাত ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করা হয়। এরপর থেকে ঝুঁকি নিয়েই সাঁকো পারাপার হচ্ছে দুইপাড়ের বাসিন্দারা। তারা বলোন, নতুন ব্রিজ নির্মাণ হলে বলুহা, শিবপুর, পাঁচাশি সহ কয়েক গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের দুর্ভোগ কমবে ।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চৌকা বিলে ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্রিজের সংযোগস্থলে কংক্রিট ও বাঁশের খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। এর উপরে সরু লোহার পাত বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে সাঁকো। বাঁশের হাতল ধরে সাঁকো পার হওয়ায় সময় নড়বড়ে সেতু নড়চড়ে উঠে সাঁকো। সংস্কারের অভাবে কংক্রিটের খুঁটি নড়বেড় হয়ে গেছে। জং ধরেছে লোহার পাতে কিন্ত বিকল্প পথে কয়েক কিলোমিটার ঘুরতে হয় বলে ঝুঁকি নিয়েই দুইপাড়ের বাসিন্দারা পারাপার হচ্ছে।
শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহেল বলেন, চৌকা বিলের ওপর সাঁকোটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ। বড়রা হাতল ধরে পার হতে পারলেও শিশু ও বয়স্ক মানুষকে হাত ধরে পার করতে হয়। রাতের অন্ধকারে সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেক সময় নিচে পড়ে যায় মানুষ। পাশাপাশি সেতুর অভাবে কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
রামগোপাপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ েআল-আমিন জনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে চৌকা বিলের সেতু ধ্বংসের পর যোগাযোগ সুবিধায় স্থানীয় ও ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় সাঁকো করা হয়। একসময় এই সাঁকো দিয়ে কম মানুষ চলাচল করতো। কিন্ত এখন আশেপাশে অনেক বাড়ি হওয়ায় মানুষের চলাচল বেড়ে গেছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁেকা পার হয়।
তাই আমাদের দাবি নতুন সেতু নির্মাণ করা হোক ইউএনও হাসান মারুফ বলেন, চৌকা বিলের ওপর নির্মিত ধ্বংসপ্রাপ্ত সেতুটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত। এখানে যোগাযোগের জন্য নতুন সেতু প্রয়োজন এই মর্মে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে চাহিদা পেলে আমরা সেতু নির্মাণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।
গৌরীপুরে মুক্তিযুদ্ধের ৫১ বছরেও নির্মিত হয়নি ব্রিজ। দিলীপ কুমার দাস ময়মনসিংহ।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রামগোপালপুর ইউনিয়নের চৌকা বিলের ওপর নির্মিত একটি পাকা সেতু ধ্বংস করে দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর প্রায় ৫১ বছর কেটে গেলেও ওই স্থানে নির্মিত হয়নি ব্রিজ। দুই পাড়ের বাসিন্দারা ব্রিজের সংযোগস্থলে সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন উক্ত গ্রামের লোকজন।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের শিবপুর ও বলুহা গ্রামকে বিভক্ত করেছে চৌকা বিল। ওই দুই গ্রামের সংযোগস্থলে ছিল পাকা সেতু। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে পাশ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জে পাকবাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণের সময় ডিনামাইট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওই সেতুটি ধ্বংস করে দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধের পর ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের উদ্যোগে পারাপারে সুবিধায় ব্রিজের সংযোগস্থলে লোহার পাত ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করা হয়। এরপর থেকে ঝুঁকি নিয়েই সাঁকো পারাপার হচ্ছে দুইপাড়ের বাসিন্দারা। তারা বলোন, নতুন ব্রিজ নির্মাণ হলে বলুহা, শিবপুর, পাঁচাশি সহ কয়েক গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের দুর্ভোগ কমবে ।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চৌকা বিলে ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্রিজের সংযোগস্থলে কংক্রিট ও বাঁশের খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। এর উপরে সরু লোহার পাত বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে সাঁকো। বাঁশের হাতল ধরে সাঁকো পার হওয়ায় সময় নড়বড়ে সেতু নড়চড়ে উঠে সাঁকো। সংস্কারের অভাবে কংক্রিটের খুঁটি নড়বেড় হয়ে গেছে। জং ধরেছে লোহার পাতে কিন্ত বিকল্প পথে কয়েক কিলোমিটার ঘুরতে হয় বলে ঝুঁকি নিয়েই দুইপাড়ের বাসিন্দারা পারাপার হচ্ছে।
শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহেল বলেন, চৌকা বিলের ওপর সাঁকোটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ। বড়রা হাতল ধরে পার হতে পারলেও শিশু ও বয়স্ক মানুষকে হাত ধরে পার করতে হয়। রাতের অন্ধকারে সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেক সময় নিচে পড়ে যায় মানুষ। পাশাপাশি সেতুর অভাবে কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
রামগোপাপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ েআল-আমিন জনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে চৌকা বিলের সেতু ধ্বংসের পর যোগাযোগ সুবিধায় স্থানীয় ও ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় সাঁকো করা হয়। একসময় এই সাঁকো দিয়ে কম মানুষ চলাচল করতো। কিন্ত এখন আশেপাশে অনেক বাড়ি হওয়ায় মানুষের চলাচল বেড়ে গেছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁেকা পার হয়।
তাই আমাদের দাবি নতুন সেতু নির্মাণ করা হোক ইউএনও হাসান মারুফ বলেন, চৌকা বিলের ওপর নির্মিত ধ্বংসপ্রাপ্ত সেতুটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত। এখানে যোগাযোগের জন্য নতুন সেতু প্রয়োজন এই মর্মে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে চাহিদা পেলে আমরা সেতু নির্মাণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.