|| ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১লা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
আগামী বছর থেকে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সরকারের-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৩ ডিসেম্বর, ২০২২
আগামী বছরের জুন মাস থেকে দেশে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, সরকার, দেশের জ্বালানির উৎস পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী এবং টেকসই বিকল্পগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ কারণেই আমরা আগামী বছরের জুন থেকে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ এটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি বলেও জানান তিনি।
তবে একইসঙ্গে, বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে দেশে সরাসরি জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, আমরা বর্তমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসের দামবৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। কারণ, এখন আমাদের কাছে ডিপ সিতে (গভীর সমুদ্রে) এক্সেপ্লোরেশনের জন্য অফার আসছে। আগে কোনো পার্টিই পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, অনেক সময় বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন না যে, এখানে একটা বিজনেস কেস ইনভলবড। এটা এমন না যে গ্যাস পেলাম, কালকে গিয়ে ঝাপায়ে পড়ব। বিজনেস কেসটা হলো খনন করলে সেটা ওই কোম্পানির জন্য লাভজনক হবে কি না। ফিসিবিলিটি ইজ দ্য মেইন থিং।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১০ বছর আগে কেন হয়নি? এই কারণেই হয়নি। ইট ওয়াজ নট ফিসিবল। আইওসি ২ ডলারে গ্যাস দেয়। আর সেখানে গিয়ে গ্যাস এক্সপ্লোরেশন করতে গেলে লাগবে ৭ ডলার। তো আমি যদি বলি ৫ ডলার দেবো, কেউ রাজি হবে? কেউ রাজি হয়নি। এটা বুঝতে হবে। এখন দাম বেড়েছে, এখন অনেক মানুষ আসছে।
তিনি বলেন, আমি কাউকে দোষ দেই না। যারা থিওরি নিয়ে কাজ করেন, তারা এ বিষয়টি বাইরে গিয়ে চিন্তা করেন না যে, কেন আসে না। কারণ খনন কোম্পানি ব্যবসাও করতে চাচ্ছে।
নসরুল হামিদ বলেন, তারা এখানে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে, ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। তারা তো বসে নেই যে ২ ডলার করে গ্যাস বিক্রি করবে। তারা চিন্তা করে, আগামী ১০ বছর লাগবে আমার গ্যাস এক্সপ্লোরেশন করে আসতে, সেসময় দাম কত হবে, সেসময় যদি দাম ড্রপ করে, তাহলে কী হবে। আদৌ কি চাহিদা থাকবে কি না। এখানে নানা জটিলতা আছে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল এবং তরল গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশের ডলার রিজার্ভ বাঁচাতে চলতি বছরের জুলাইয়ের শুরুতে দেশের ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল সরকার।
কিন্তু লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কল কারখানার উৎপাদন এবং দৈনন্দিন জীবন ব্যহত হওয়ায় পরে এই পদক্ষেপ থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.