|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সুপার টুয়েলভে প্রথম জয় বাংলাদেশের-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ অক্টোবর, ২০২২
প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট।
বোলার তাসকিন আহমেদ। ১৪৫ তাড়া করতে নামা নেদারল্যান্ডসকে শুরুতেই টালমাটাল করে দেন তিনি জোড়া আঘাতে। তারপরও ম্যাচটা জিতল বাংলাদেশ শেষ বলে, নয় রানে। ডাচদের ইনিংসে দুই অঙ্কের রান করা তিনজন ব্যাটারের মধ্যে কলিন অ্যাকারমানের ৪৮ বলে ৬২ রানের জন্যই ম্যাচটা ক্লোজ হয়। বাংলাদেশের কারোর ফিফটি নেই। ঝরাপাতার মতো ব্যাটিংয়ে সাকুল্যে আট উইকেটে ১৪৪ রানের পুঁজি নিয়ে সাকিবরা শেষ পর্যন্ত জয় দিয়ে টি ২০ বিশ্বকাপ শুরু করেছেন। সোমবার হোবার্টে পাওয়া জয়টা কাঙ্ক্ষিত। অধিনায়কের কথায়, গুরুত্বপূর্ণ। তা তো বটে। কারণ ২০০৭ থেকে টি ২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে (সুপার টুয়েলভ) এ পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়। বাকি ১৬টিতেই হার।
বৃষ্টিভেজা ম্যাচে সেই প্রার্থিত ও প্রত্যাশিত জয়ও কষ্টের ফসল। কানের পাশ দিয়ে গুলি চলে যাওয়ার মতো। প্রথমত, কৃতিত্ব বাংলাদেশের পেসারদের। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ। নেদারল্যান্ডসের ইনিংসে প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে তাসকিন যে ধাক্কাটা দেন, তাতেই বাংলাদেশের জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়। চার ওভারে ২৫ রানে চার উইকেট নিয়ে এই ডান-হাতি পেসার নিজের কাজ শেষ করেন সুচারুরূপে। টি ২০তে এটি তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। হাসান মাহমুদের চার ওভারে ১৫ রানে দুই উইকেট তরকারিতে নুনের কাজ করে। ১৫ রানে চার উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডস এরপরও যে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করেছে, এটাই তাদের সান্ত্বনা।
সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-২ এ এই ম্যাচটাই সাকিবদের জন্য ছিল সবচেয়ে সহজ। পরের চার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, ভারত ও পাকিস্তান। দ্বিতীয়ত, ডাচ ব্যাটার কলিন অ্যাকারমান হয়ে উঠতে পারেননি আগেরদিনের বিরাট কোহলি। ৪৮ বলে ৬২ রানের ইনিংসে হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছেন তিনি। শেষের দিকে পল ভ্যান মিকেরেন ১৪ বলে ২৪ রান করে ডাচদের আক্ষেপ বাড়িয়েছেন। আক্ষেপ সাকিবেরও আছে। সেটি ১০ রান কম করার। সেই ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছেন পেসাররা। ফিল্ডিংও হয়েছে আঁটোসাঁটো (দুটি রানআউট)। কিন্তু সব ম্যাচে একটি বিভাগের ওপর নির্ভর করে পার পাওয়ার আশা করাটা হবে দুরাশা।
উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু করেও বাংলাদেশ ১৫০ পেরোতে পারেনি। ব্যাটিং-গুরু জেমি সিডন্সের ১৭০-১৮০ এই ম্যাচেও দেখা গেল না। নাজমুল হোসেন (২৫) ও সৌম্য সরকার (১৪) পাঁচ ওভারে ৪৩ রানে নিয়ে গিয়েছিলেন দলকে। এক বছর এটাই উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রান। দুজনই ক্রস ব্যাটে শট খেলতে গিয়ে পরপর দুই ওভারে আউট হন। বাংলাদেশ ছয় ওভারের ব্যবধানে ৩৩ রানে পাঁচ উইকেট হারায়। ২৮-এ জীবন পাওয়া আফিফ হোসেন (৩৮) ষষ্ঠ উইকেটে নুরুল হাসানের (১৩) সঙ্গে ৪৪ রান তোলেন। লেজে মোসাদ্দেক হোসেনের ১২ বলে ২০* সহায়তা করে। (স্কোর কার্ড খেলার পাতায়)
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.