|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ময়মনসিংহ বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে বিভিন্ন প্রস্তুতি-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৪ অক্টোবর, ২০২২
ময়মনসিংহে আগামী ১৫ অক্টোবর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহন করেছে দলটি। ইতোমধ্যে ৭টি জেলা ইউনিট ও উপজেলা কমিটির প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিভাগীয় সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগমের মধ্য দিয়ে জনগণের অভ্যুত্থান ঘটাতে চায় দলটি। অপরদিকে একই দিনে নগরীর কৃষ্ণচূড়া চত্বরে জমায়েতের ঘোষনা দিয়েছে আওয়ামীলীগ। তারা বলছেন, বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে কোনো বিশৃঙ্খলা বা জানমালের ক্ষতির চেষ্টা করা হলে প্রতিহত করা হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঙ্গা ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় ও জেলাসমূহের নেতারা বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ ঘটাতে একাধিক প্রস্তুতি সভা, কর্মী সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণরে মাধ্য প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দলের একাধিক নেতা জানান, নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠ বরাদ্ধ চেয়ে তারা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন তবে এখনও অনুমতি না মেলায় তারা ক্ষোভ জানিয়েছেন।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, বিএনপির একটি ঐতিহ্যবাহী দল। আমাদের বিশ্বাস এই দলের সমাবেশকে ঘিরে শহর কানায় কানায় মানুষে ভরে উঠবে। এই সমাবেশে করতে যদি কোন বাধা আসে তাহলে তা রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করা হবে।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, এদিকে ৭টি জেলা ইউনিটসহ সকল ইউনিট কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সমাবেশের দিন পথে পথে যদি বাঁধা প্রদান করা হয় তাহলে এই সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। যেখানেই বাধা আসবেই সেখানেই বিএনপি’র সমাবেশ মঞ্চ হয়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপি বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন এই বিভাগীয় সমাবেশের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষ হয়েছে। জনগণ জেগে উঠছে, জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই। জনগণ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা আর রাজনৈতিক দল হিসাবে কাজ করতে পারছে না। সমাবেশকে ঘিরে সাধারণ মানুষসহ দলীয় নেতাকর্মীদের যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে তাতে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ হবে।
অপরদিকে একই দিনে আওয়ামীলীগ নগরীর কৃষ্ণচূড়া চত্বরে জমায়েতের ঘোষনা দিয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে কোনো বিশৃঙ্খলা বা জান মালের ক্ষতির চেষ্টা করা হলে কঠোর ভাবে প্রতিহত করা হবে। আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করবো, কিন্তু বিএনপি যদি কোন দেশ বিরোধী বক্তব্য ও জনগনের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা আমাদের সমাবেশ থেকে বিএনপিকে প্রতিহত করার সকল প্রস্ততি নেবে।
এদিকে জেলা নাগরিক আন্দোলের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি: নুরুল আমীন কালাম বলেন, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার সকল দলেরই আছে। আমরা চাইনা এই দুই দলের সমাবেশকে ঘিরে শহরে কোন বিশৃঙ্খলা ও হানাহানি হউক। সেই দিকে দুই দলের নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বী, বিএনপি যদি শান্তিপূর্নভাবে সমাবেশ করে তাহলে তাদেরকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে। যদি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যদি বিশৃঙ্খলা করে তাহলে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
সকল দলের কর্মসূচি পালনের অধিকার আছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, একই দিনে পৃথক স্থানে আওয়ামীলীগ তাদের কর্মসূচি ঘোষনা করেছেন। বিএনপি ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী যেন একই জায়গায় না হয় সেদিকে পুলিশের ব্যপক নজরদারী থাকবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.