ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের ভরণপোষণের দাবিতে করা মামলায় ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আল-আমিনের জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন আল-আমিন আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে দুই সন্তান নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। আল-আমিনের পক্ষে আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। অপরদিকে আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী শামসুজ্জামান গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জানান।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর আদালতে উপস্থিত হন আসামি আল-আমিন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন তিনি। তবে এ সংক্রান্ত কোনো কাগজ পাননি বলে জানান স্ত্রী ইসরাত। সেই সঙ্গে ন্যায়বিচার কামনা করেন তিনি।
২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আল-আমিন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
৭ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরণ-পোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবি করে একই আদালতে মামলা করেন আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত। মামলাটি আমলে নিয়ে ক্রিকেটারকে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত।
মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ইসরাত ও আল-আমিন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়াশোনা করছে। বেশ কিছুদিন ধরে স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণ-পোষণ দেন না এবং খোঁজ না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন আল-আমিন। যোগাযোগও করেন না তিনি।