এক চাঁদপুরেই যেন ঘুরিয়ে দিলো বাংলাদেশের ইলিশ মাছের পুরো চিত্র। মা মাছ এবং জাটকা রক্ষা ও সংরক্ষণে সময় নির্ধারণ করে দেয়ার পাশাপাশি জিনম সিকোয়েন্স রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে ইলিশ মাছের বংশবিস্তারে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে এখানকার গবেষণাকেন্দ্র। এক যুগের গবেষণার সুফল ভোগ করছে ইলিশপ্রিয় দেশের সাধারণ মানুষ।
এক চাঁদপুরই যেন ঘুরিয়ে দিলো বাংলাদেশের ইলিশের চিত্র!
এক দশক আগে চারদিকে যখন ইলিশ মাছ নিয়ে চরম হাহাকার। আগামীতে বাংলাদেশের নদী কিংবা সাগরে সুস্বাদু ইলিশ মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। আর ঠিক তখনই ইলিশ রক্ষায় এগিয়ে আসে চাঁদপুরের ইলিশ গবেষণাকেন্দ্র।
প্রথমেই এখান থেকে জানানো হয়, ইলিশ রক্ষা করতে গেলে বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বিকল্প নেই।
অবশ্য পরবর্তী সময়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য মৎস্য গবেষকদের মতামত নিয়েই তৈরি হয় ইলিশ মাছ রক্ষার মহাপরিকল্পনা। এর মধ্যে মা মাছের ডিম ছাড়ার সময় সংরক্ষণ ছাড়াও জাটকা রক্ষার ক্ষেত্রেও সময় নির্ধারণ করে দেয় সরকার। ইলিশের অভয়াশ্রম চিহ্নিতের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন এখানকার বিজ্ঞানীরা।
দেশের অন্যতম মৎস্য বিজ্ঞানী, ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, শুধুই যে সময় নির্ধারণ করেছে তা কিন্তু নয়। ইলিশ মাছের জীবন রহস্য উন্মোচনেও মূল ভূমিকা রেখেছে এখানকার ইলিশ গবেষণাকেন্দ্র। যে কারণে আন্তর্জাতিকভাবেই ইলিশ মাছের মেধাস্বত্ব এখন বাংলাদেশের।
শুধু তাই নয়, চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনার জেলে এবং মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, অনেক বছর পর তারা বড় ইলিশের দেখা পেয়েছেন। এতে কিছুটা হলেও তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।
গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন নদী ও সাগর থেকে আরোহিত ইলিশের মধ্যে ওজনে বেশি এবং সুস্বাদু হলো চাঁদপুরের ইলিশ। বিশেষ করে মেঘনা নদীর অববাহিকায় রয়েছে ইলিশের অন্যতম বৃহৎ বিচরণ ক্ষেত্র। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে রাজা ইলিশ হিসেবে পরিচিতি বড় সাইজের ইলিশেরও দেখা মিলেছে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে।