|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পাকুন্দিয়ায় প্রতিমা তৈরিতে শেষ মুহূর্তে আজ মহালয়া কারিগরদের ব্যস্ততা-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় প্রতিমা তৈরিতে শেষ মুহূর্তে চলছে কারিগরদের ব্যস্ততা। উপজেলার ১৫টি মণ্ডপে দিনরাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। এসব প্রতিমায় এখন শিল্পীদের তুলির শেষ আঁচড় চলছে।
শনিবার (২৪সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি পূজা মণ্ডপে এমনি চিত্র দেখা গেছে আগামী ১ অক্টোবর মহাসপ্তমীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ১ অক্টোবর পূজা শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটব
আয়োজকরা বলছেন, এবারে দুর্গা মায়ের আগমন ঘটবে গজে আর যাবে দোলায়, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলায় ভরে যাবে দেশ আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও রোগমুক্তির আশায় অন্যরকম আনন্দে ভাসছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। তারা বলছেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এরপরও থেমে নেই তাদের আয়োজন। রকমারি আলোকসজ্জার বর্ণালী বাহারে সাজানো হচ্ছে পূজা মণ্ডপ ও তার আশপাশ এলাকা। হাতে আছে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি।সনাতন ধর্ম মতে, দেবী দুর্গা অসুর দমনের শুভ শক্তি নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করবেন। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনের জন্যই দশ হস্তে দেবী দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আগমন করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষগুলো প্রতি বছর শারদীয় উৎসব হিসেবে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে। অপরদিকে পরিবার পরিজনের জন্য কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঘরে বাইরে পূজাকে ঘিরে চলছে ব্যস্ততা। জামা কাপড় তৈরি, কেনা-কাটায় সরগরম শহরের বিপণী বিতানগুলোতে। শারদীয় দুর্গা উৎসবকে কেন্দ্র করে চারপাশে চলছে এখন উৎসবের আমেজকয়েকটি পূজামণ্ডপে ঘুরে দেখা যায়, কাদা মাটি, বাঁশ, খড় ও সুতলি দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। বিভিন্ন মন্দিরে একেক জন কারিগর দুর্গা পূজা শুরুর ১০দিন থেকে ১৫দিন আগে থেকেই প্রতিমা তৈরিতে সময় নিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দক্ষ কারিগররা উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে শুরু করেন এসব প্রতিমা বানানোর কাজ। ইতিমধ্যে অধিকাংশ পূজামণ্ডপের প্রতিমা তৈরির মাটির প্রধান কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন কারিগররা তাদের নিপুণ হাতের প্রতিমা রং করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা পূজা উৎপাদন কমিটির সভাপতি গোপাল চন্দ্র সরকার বলেন, মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় ইতিমধ্যেই সিসি ক্যামেরা বিতরণ করা হয়েছে।এই উপজেলায় বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন হয়। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না বলে জানান তিনি।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সারোয়ার জাহান বলেন, দুর্গোৎসব সফল করতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বৈঠক করছেন আয়োজকদের সঙ্গে। পূজায় নিরাপত্তায় উপজেলার ইউনিয়ন ভিত্তিক ও মণ্ডপ ভিত্তিক টহল টিম গঠন করা হয়েছে। শারদীয়শারদীয় দুর্গা পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারে, পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব রকম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.