|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কাজ নিয়ে বিপাকে সৌদি আরব আসা কর্মীরা-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
যানা যায়,অনেকের ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস ও লুকিয়ে কাজ করছেন। কেউ বা ইকামার মেয়াদ বাড়াতে গিয়ে পড়ছেন স্বদেশী দালালের খপ্পরে।
জীবিকার খোঁজে সৌদি আরব পাড়ি জমানো দুই কোটিরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসীরা নানামুখী সংকটে কঠিন সময় পার করছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশিদের বেশিরভাগ সারা মাস কাজ করে নিজের থাকা ও খাওয়ার খরচটুকু বাড়ে সব টাকা দেশে পাঠান। কয়েক লাখ টাকা খরচ করে সর্বনিম্ন তিন থেকে ছয় মাসের ইকামা নিয়ে সৌদি আরব এসে পড়ছেন সম্প্রতি আসা প্রবাসীরা। বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির ইকামার মেয়াদ না থাকায় বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস ও লুকিয়ে কাজ করছেন তারা।
এর মধ্যে সৌদি আরবের পুলিশ প্রতিনিয়ত রীতিমত চেকপোস্ট বসিয়ে ইকামা চেক করছে। ধরা পড়লেই জেল ও দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। অনেকে ইকামার মেয়াদ বাড়াতে গিয়ে স্বদেশী দালালের খপ্পরেও পড়ছেন। মধ্যস্বত্বভোগীরা নিয়ে যাচ্ছে তাদের কষ্টার্জিত আয়ের বড় অংশ।
মক্কা প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী জানান, আমরা দেখতে পাচ্ছি সৌদি আরবে নতুন যারা আসতেছে তাদের ইকামার মেয়াদ তিন থেকে ছয় মাস থাকছে। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে তারা কোথাও স্থায়ী হতে পারছে না। ফলে তারা না পারছে দেশে টাকা পাঠাতে, না পারছে নিজে এখানে দিনযাপন করতে। এটা এড়াতে হলে কোম্পানির কাজ শিখে, ভালো ভিসা দেখে আসেন।
ট্রাভেলসের মালিকরা বলেন, যারা দেশ থেকে আসছেন তাদের আসার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত যে কোম্পানির কাজে আসছেন সেখানে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান আছে কিনা। বেতন, থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা কেমন হতে তা জেনে নিতে হবে।
এগুলো একেবারে নিশ্চিত হয়ে আসা উচিত। এসব না জেনে যারা আসতেছে তারা কাজ পাচ্ছে না। আমি মনে করি, কোনও নির্দিষ্ট কাজের দক্ষতা না থাকলে সৌদি আরব না আসাই ভালো।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.