|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
১০ টাকা কেজির চালের কার্ড বহাল রাখার দাবীতে মণিরামপুরে হতদরিদ্রদের মানববন্ধন-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৮ আগস্ট, ২০২২
হতদরিদ্রের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী ১০ টাকা কেজির চালের কার্ডের তালিকা থেকে মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষের কার্ড ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক বালিত করা হয়েছে এবং অন্য নামে ইস্যু করা হয়েছে। এ কার্ডগুলো বহাল রাখার দাবীতে রবিবার (২৮ আগস্ট-২০২২) বেলা সাড়ে ১১টায়, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের (এড়ান্দা গ্রাম) বাসিন্দা হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত আমিন হোসেন (৬০), নূর ইসলাম (৭৬), আব্দুল মাজিদ (৬৫), সকেন দিস (৬০), নারান দাস (৫৫), আজগার আলী (৬৫) সহ অনেকেই জানান- আমাদের নামে ১০ কেজির চালের কার্ড ছিলো। আমরা বিগত ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই কার্ডের মাধ্যমে চাল তুলেছি। পরবর্তীতে ডিলারের কাছে চাল তুলতে গেলে চাল দেয়নি। তখন ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে জানতে পারি আমাদের নামের কার্ড বাতিল করা হয়েছে। জানাহারা বেগম, সবিতা রাণী অধিকারী বলেন- আমরা খুব অসহায় মানুষ। আমাদের কার্ড, আমাদের অজান্তে বাতিল করা হয়েছে। আমাদের কার্ড, আমরা ফিরে পেতে চাই। এ কারণে আজ আমরা এখানে এসেছি। ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ বলেন- এই মানুষগুলো সবাই খুব অসহায় এবং হতদরিদ্র। এদের মধ্যে রয়েছে খেটে খাওয়া দিনমুজুর, ভ্যান চালক, স্বামী পরিতক্তা ও প্রতিবন্ধী। এদের নামে হতদরিদ্র খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড ছিলো। সেই কার্ড ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সুবিধা বঞ্চিত এই হতদরিদ্র মানুষগুলো স্বক্ষর করে, চলতি মাসের ২২ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত চাই এবং প্রশাসনের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি। রোহিতা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লাতু আমীন বলেন- বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতার কার্ড আছে, আবার যাদের অবস্থা ভালো এবং যাবের কার্ডের বয়স অনেক দিন এমন কিছু কিছু লোকের কার্ড বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেব জানেন। তবে কতোটা কার্ড বাতিল করা হয়েছে তিনি জানাতে পারেননি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন- ওই ওয়ার্ডের কিছু কার্ড বাতিল করা হয়েছে। যাদের কার্ড বাতিল করা হয়েছে, তারা একাধিক সুবিধা ভোগ করছিলো। মেম্বার আমাকে বিষয়টি জানানোর পরেই কার্ডগুলো বাতিল করা হয়েছে। তারপরেও উনিশ-বিশ হতে পারে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.