|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বরিশালে নদীতে ঝাঁপ দিয়েও রক্ষ হলো না পুলিশ সদস্যের-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৬ আগস্ট, ২০২২
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়েও রক্ষা পেলেন না এক পুলিশ সদস্য। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িওয়ালার ১৯ বছরের মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ ও এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
এরই মধ্যে ওই তরুণীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানান, গ্রেফতারকৃত কাওসার হোসেন বরিশাল জেলা পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন। তার বাড়ি বরগুনা জেলা সদরের আমড়াঝুড়ি এলাকায়। তবে তিনি চাকরির সুবাদে বরিশাল নগরের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার বুকভিলা গলির একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদস্য কাওসার হোসেন গত জানুয়ারি মাসে স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে বুকভিলা গলির একটি ফ্লাট ভাড়া নেন। সেই সুবাদে বাড়ির মালিকের ১৯ বছরের মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কথাবার্তা হতো। একপর্যায়ে ব্যাচমেটদের সঙ্গে মেয়েটিকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে সখ্য গড়েন। পরে তরুণীর সঙ্গে নিজেই পরকীয়ায় জড়ান কাওসার। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিভিন্ন সময়ে মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ‘ধর্ষণ’ করেন। পরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা ও খালাকে বিষয়টি জানান। তাদের সহায়তায় মেয়েটি চিকিৎসকের কাছে গেলে জানতে পারেন যে তিনি প্রায় ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।
যদিও থানার অন্য পুলিশের সদস্যরা জানিয়েছেন, দুই মাস আগে ওই তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়। আর এর কিছুদিন পরই তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। আর বিষয়টি জানতে পেরে কিছুটা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন পুলিশ সদস্য কাওসার।
যার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ওই তরুণী আরও এক নারীকে নিয়ে থানা পুলিশের সদস্যদের সহায়তা বরিশাল নগরের ত্রিশ গোডাউন এলাকায় কাওসারের সন্ধানে যান। সেখানে কাওসারকে আটক করার চেষ্টা করা হলে তিনি দৌড়ে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে ওই দুই নারীকে নিয়ে এক পুলিশ সদস্য ট্রলারে করে মাঝ নদীতে গিয়ে কাওসারকে আটক করে। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ত্রিশ গোডাউন এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, দুপুরে ত্রিশ গোডাউন এলাকায় এসে দুই নারী ও একজন পুলিশ সদস্য কাওসারকে আটক করেন। এরপর তাদের মধ্যে এক নারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কাওসার দৌড় নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে ট্রলার নিয়ে মাঝ নদী থেকে তাকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, ৯৯৯ এ ফোন কল
পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সদস্যরা পুলিশ সদস্যসহ ভিকটিমকে নিয়ে থানায় আসে। ভিকটিম থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.