নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের আওতায় দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টিতে আউশ ধান রোপনের ব্যর্থতার পর আমন ধানে রোপণের জন্য ব্যর্থ হয়ে উপজেলা কৃষকরা যখন নিঃস্ব হওয়ার পথে তখন এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়।দীর্ঘদিন ধরে কৃষি উদ্যোক্তা পরিষদ মতলব উত্তরের সদস্যরা অনাবৃষ্টিতে আউশ ও আমন মৌসুমের সেচ প্রদানের দাবি তুলে আসলে ও কোনরূপ ফল না পেয়ে ২৫ শে আগস্ট ২০২২ উপজেলা প্রাঙণে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এদিকে উপজেলা সেচ কমিটি ২৪ শে আগস্ট কৃষকদের আমন মৌসুমে পানি দেওয়ার লক্ষ্যে এক সভার আয়োজন করেন। সভায় কৃষকদের যৌক্তিক দাবি ও বাস্তবিক প্রয়োজনীয়তার কথা উপলব্ধি করে পানি দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। "কৃষি উদ্যোক্তা পরিষদ মতলব উত্তর উপজেলা চাঁদপুর" সভার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মানব বন্ধন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন। পরদিন সকালে স্বপ্নবিলাস পানি ব্যবস্থাপনা দল ও মতলব উত্তর উপজেলা সিআইজির সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন সরকার ও কৃষি উদ্যোক্তা পরিষদ মতলব উত্তর উপজেলা চাঁদপুর এর আহবায়ক মোঃ আতাউর রহমান সরকারের উদ্যোগে এলাকার কৃষকদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে সেচ নালা পরিষ্কার করেন। সেচ্ছাশ্রমে অংশগ্রহণ করেন ওটারচর এর কৃষক ও সেচ্ছাসেবী মোঃ কাইয়ুম সরকার, আরিফ সরকার, ইব্রাহিম দেওয়ান, মিলন ভূইয়া, খাককান্দা গ্রামের মালেক প্রধান,আবদুর রউফ প্রধান, দুলাল প্রধান , আবদুল হক,হান্নান মিয়া ও বৈদ্যনাথপুর গ্রামের কৃষক প্রমুখ। তাদের সবার একটাই দাবি আমরা সেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে রাজি তবুও আমার এলাকার কৃষকভাইরা পানি সংকট থেকে উত্তরণ হ'য়ে দেশের খাদ্য উৎপাদনে ভুমিকা রাখুক এটাই আমাদের সার্থকতা। এসময় কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ আতাউর রহমান সরকার বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু আকস্মিক পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের মাত্রা কখনো তীব্র হয়ে ফসল তলিয়ে যায় আবার কখনো অনাবৃষ্টি জনিত কারণে জমি ফেটে চৌচির হয়ে যায়। গতবছর এমন সময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য আমরা জলবদ্ধতার স্বীকার হয়ে নিস্ব হয়েছিলাম এবার আবার প্রখর খরায় আউশ রোপণ অনেকেই করতে পারি নাই। যতটুকু করেছে তাও পানির অভাবে সুবিধা হয় নি। এখন আমন নিয়ে সংকটে। এসব কারণে আমরা কৃষকরা সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে শস্য উৎপাদন করতে পারছি না। তবে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে খাদ্য দ্রব্যের দাম ঠিক রাখার জন্য যে সব অঞ্চলে এমন সেচ প্রকল্প আছে সেসব এলাকায় জরুরি সেচ সুবিধা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের সেচকমিটির কার্যক্রম কে ও আমরা সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প জরুরী কর্যক্রম সবসময় চালু রাখার অনুরোধ জানাই।