স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ
খুলনার দাকোপের বানীশান্তার মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের উদ্যোগে পশুরনদীর ড্রেজিংয়ের বালু বানীশন্তার তিনশো একর তিন ফসলি কৃষিজমিতে ফেলার সিদান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোবের তোপে বানীশন্তার ঘটনাস্তল পরিদর্শন না করে ফিরে গেলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃমোস্তফা কামাল।এর আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব মোঃসায়েমুর রশিদ খান প্রেরিত সফরসুচিনুযায়ী নৌসচিব মোঃমোস্তফা কামালের ২০ আগষ্ট শনিবার মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনারবার ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শণ কথা সিডিউলনুযায়ী শনিবার ১১ টারদিকে নৌ-সচিব পশুরনদীর ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার এলাকা, বানীশান্তার গ্রীণ এলপিজি জেটিতে পৌঁছালে
স্হানীয় কৃষকরা আগে থেকেই বিক্ষোভ করতে থাকে
এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে একপর্যায়ে নৌসচিব মোঃমোস্তফা কামাল এর স্পীডবোড জেটিতে না ভীড়ে ওই স্হান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
বিক্ষোভকারী নেত্রী কৃষানী বৈশাখী মন্ডল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নৌ-সচিব আসবেন আমরা ওনাকে স্বাগত জানানোর জন্যেই অপেক্ষা করছিলাম।কিন্তু নৌ-সচিব আসার আগেই বন্দর কতৃপক্ষ মিথ্যা এবং ভুল তথ্যদিয়ে জেটি চত্তরে কিছু
ফেস্টুন- প্লেকাড দিয়ে সাজিয়ে রাখে।আমরা তাদেরকে এগুলা সরিয়ে ফেলতে অনুরোধ করি।কিন্তু তারা এগুলো না সরানোর কারণে উত্তেজিত কৃষকরা তা নিজেরা সরিয়ে ফেলেন।
এই হট্টগোল চলাকালে নৌ-সচিবের স্পীডবোড জেটিতে আসলে তিনি উপরে না উঠে ওই স্হান ত্যাগ করেন বলে আমরা জানতে পারি।
বানীশন্তা পরিদর্শণের বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের
সচিব মোঃমোস্তফা কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্হানীয় এমপি”র আবেদনের প্রেক্ষিতে বানীশান্তা পরিদর্শনে আসি।বানীশন্তার তিনশো একর জমি মোংলা বন্দরের হুকুম-দখল নেওয়া আছে। এই কাজে এলাকার মানুষ আপত্তি জানায়।কাগজ পত্র দেখে পরবর্তীতে সিদান্ত গ্রহন করা হবে।
স্হানীয় বানীশন্তা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুদেব রায় বলেন বানীশান্তার তিনশো একর তিনফসলি কৃষিজমিতে বালু ফেলতে দেওয়া হবেনা।বন্দরের স্বার্থে নদী খনন প্রয়োজন থাকলেও বালু ফেলার ও বিকল্প জায়গা রয়েছে সেখাণে বালু ফেলা হোক।