মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আজ শনিবার দুপুরে খেয়াঘাটে টোল আদায়কারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে নিপীড়ন ও হেনস্তার মৌখিক অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। <img src="https://dainikbanglarodhikar.com/wp-content/uploads/2022/08/received_1105095363746092-300x169.jpeg" alt="" width="300" height="169" class="alignnone size-medium wp-image-72184" />
বালিকা বিদ্যালয়টির বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, নৌকায় ধনাগোদা নদী পার হওয়ার পর খেয়াঘাট হয়ে প্রতিদিন তাঁদের বিদ্যালয় ও বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে হয়। ওই খেয়াঘাট দিয়ে আসা ও যাওয়ার সময় ঘাটের টোল আদায়কারীদের জনপ্রতি ৩ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া নৌকায় প্রত্যেককে দিতে হয় আরও ৫ টাকা। কিন্তু খেয়াঘাটের ওই টোল আদায়কারীরা তাঁদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করেন। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওড়না ধরে টান দেওয়া, শারীরিকভাবে হেনস্তা করা ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করাসহ নানাভাবে তাঁদের উত্ত্যক্ত করেন। গত বুধ, বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবার বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় অতিরিক্ত টোল না দেওয়ায় খেয়াঘাটের ওই টোল আদায়কারীরা ১০-১২ শিক্ষার্থীর ওড়না ধরে টান দেন এবং অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় তাদের গালাগাল করেন। এ ছাড়া সারা বছরই নানা ভাবে তাঁদের উত্ত্যক্ত করেন ওই ব্যক্তিরা। এসব অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে আজ থানার ওসি কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। পরে লিখিত অভিযোগ করবেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ওই শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আল মহসিন প্রধান বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রী বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছেন।
টোল আদায়কারী তোফাজ্জল হোসেন, নাজির মিয়া, সবুজ মিয়া ও মো. রোশন আলীর মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। খেয়াঘাটের ইজারাদার মো. আইয়ুব আলী বলেন, ছাত্রীদের সঙ্গে টোল আদায়কারীদের এ রকম আচরণ অপ্রত্যাশিত ও মেনে নেওয়ার মতো নয়। বিষয়টি খতিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে থানায় বসবেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।