|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মালিকানাধীন জমি আবারো দখলের চেষ্টা জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৬ আগস্ট, ২০২২
লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ৭নং ওয়ার্ডের কালাচাঁন বনিকের বাসার সামনে ব্যক্তি মালিকাবাধীন জমি ফের দখলে নেওয়ার চেষ্টা অভিযোগ
জেলা পরিষদ বিরুদ্ধে। আজ শনিবার ভোর রাতে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিত দখল নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয় বলে জানায় ভুক্তভুগি পরিবার। এ সময় দখলকারীরা টিন দিয়ে কর্মচারীদের ডরমিটরী ও দুইটি টিনশেড ঘর নির্মান করে।
ভুক্তভোগী নাছির আহম্মদ জানান, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ আমাদের দীর্ঘ ৮০ বছর ধরে ওয়ারিস ও ক্রয়সূত্রে ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি জোর করে দখল নেওয়ার পুনরায় চেষ্টা করে। জেলা পরিষদের এহেন একঘেয়মি, একপেশী ও বেপরোয়া কর্মকান্ডের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জেলা পরিষদের মত একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা এ ধরনের কর্মকান্ড আশা করি না। ভুক্তভুগিরা আরো জানান, নোয়াখালী ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ড থেকে নিলাম মূলে দাগ নং ৪৩১৮,১৯,২০ খতিয়ান নং ২৫৮৭ নকশায় ঞ‘ চিহৃ প্লট এর ৭৬ শতাংশ ভুমি মালিক হন নবদ্বীপ চন্দ্র নাথ। নবদ্বীপের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ ছেলে কৃষ্ণ পদ নাথ ও স্ত্রী সুশীলা সুন্দরী ঐ জমির মালিক হয়ে ১৯৫৬ সালে মৃত হাজী আব্দুল গফুর. মহেন্দ্র পাল, কৃষ্ণ কামিনী নাথ, অঞ্জলী দেবী, কিরন বালা নাথ, লাল মোহন নাথ এর কাছে সবটুকু সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। পর্যায়ক্রমে ক্রয় ও ওয়ারিশ সূত্রে এই জমির মালিক হন হাজী নুরুল ইসলাম, নাসির আহমেদ, স্বপন চন্দ্র নাথ, মৃত বিনোদ বিহারী পাল, হাসান মোল্লা, মৃত ভুলু মিয়া। এরা দীর্ঘদিন ভোগদখলে থেকে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছে এবং মালিকানাধীন রেকর্ডও রয়েছে। জেলা পরিষদ দীর্ঘ ৮০ বছর পর মালিকানাধীন রেকর্ড সংশোধন করে জেলা পরিষদেরা মালিকানায় নেওয়ার আবেদন করেন। গত ২২ জুন ২০২২ তারিখে জেলা রেকর্ড অফিসে এই আবেদনের শুনানী হয়। যার কোন আদেশ বা অনুলিপি এখনো প্রকাশ হয়নি। এমতাবস্থায় রেকর্ড সংশোধনের আবেদন করেই জেলা পরিষদ উক্তি জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
স্বপন চন্দ্র নাথ বলেন, দীর্ঘ ৮০বছর যাবত এ জমি আমরা ভোগ দখল করে আসছি। আমাদের সকল খাজনাও সম্পূর্ন রয়েছে। আমাদের নামে রেকর্ডও আছে। তার পরও জোরপূর্বক জেলা পরিষদ আমাদের জমি দখলে নিতে চায়। আমরা সুষ্ঠ বিচার দাবী করি।
জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান বলেন, জেলা পষিদের জায়গা দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত পড়ে ছিলো। আমরা তা দখল করছি। যদি কেউ মালিকানা দাবি করে তাহলে যথাযথ কাগজপত্র নিয়ে আসুক আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.