হবিগঞ্জ শহরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ড্রেস পরে স্কুলে না এসে বোরকা পড়ে আসায় শাস্তি হল ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে।
একজন শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের নিয়ম কানুনের মধ্যে বিদ্যালয় পরিচালনা করবে এটাই স্বাভাবিক।
একটি বাচ্চা মেয়ের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে একজন হিন্দু শিক্ষিকাকে।
শিক্ষিকা মৌসুমী রায়কে শোকজ করা হয়েছে। এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে ওই শিক্ষিকাকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।
শিক্ষিকা মৌসুমী রায় ওই স্কুলের একজন খন্ডকালীন শিক্ষক বলে জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটলেও পরদিন শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ হওয়ায় শনিবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন ওই স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।
পরে তারা কারণ দর্শানোর বিষয়ে নোটিশ প্রদান করেন। সাদিয়া আক্তার শহরের মাহমুদাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
এলাকা সূএে জানা যায়- হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষিকা হওয়ার কারনে ছোট একটি বিষয় এতো দূর গড়িয়ে গেছে।,মেয়েটির একটি ভিডিও ফুটেজ তুলে একদল তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার কারনেই আজ দেশে এসব ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন।
একজন শিক্ষক কে অপমান করা মানে ঐ শিক্ষাথীর লেখা পড়ার একটি অভিশাপ। আমরা যারা আমাদের ছেলে মেয়েকে ইস্কুলে দিয়েছি শিক্ষকরা শাসন করেছে।
আজ যদি মুসলিম শিক্ষিকা বলতো তাহলে বিষয় টি এতো দুর্দান্ত গতি হতো না বিষয় টি খুবই লজ্জাজনক।
সরকারের নজর দেয়া উচিৎ বলে মনেকরি।
বৃহস্পতিবার সাদিয়া আক্তার নামে ওই ছাত্রী স্কুলের ড্রেস না পরে স্কুলে যান। এসময় বিষয়টি নজরে আসে শিক্ষিকা মৌসুমী রায়ের। পরে তিনি ওই ছাত্রীকে ড্রেস পরে আসার কথা বলা হয়েছে, এবং সামান্য শাস্তি প্রদান করেন বলে ইস্কুলে সুএে জানা যায়।
পরের দিন একদল ভিডিও করে, মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করা হলো মেয়টি জানায় তার পরিবারকে এবিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। পরের দিন বিষয়টি ওই ছাত্রীর পরিবারকে কারো মাধ্যমে জানানো হলো।
পরিবারটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়। যদিও স্কুল ছাত্রীর দাবী, বোরকা পরে স্কুলে না আসায় শাস্তি দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে মৌসুমি রায়কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন আমি হিন্দু এর বাহিরে কথা বলেনি।
শনিবার বিষয়টি নিয়ে জরুরি আলোচনায় বসে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ।
আলোচনা শেষে তারা ওই শিক্ষিকাকে শোকজ করেন এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রোকেয়া খানম জানান, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক আমি শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি আলোচনায় বসি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শিক্ষিকাকে শোকজ এবং ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ জানান,বিষয়টি আমার জানা নেই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে তবে বিদ্যালয়ের একটি নিয়ম কানুন আছে,এর পেছনে কি হয়েছে,তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
যদি বলে থাকে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মৌসুমী রায় এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।