|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৯ জুলাই, ২০২২
আজ ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিন বিশ্ব বাঘ দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই প্রকাশিত ক্যামেরা প্রদ্ধতিতে বাঘ গণনার জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০৯ টিতে।অথচ ২০০৪ সালে বন বিভাগ এনএনডিপির সহায়তায় প্রথমবারের মতো বাঘের পায়ের ছাপ গুনে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করেছিল ৪৪০ টি। দুই বছর পর ২০০৬ সালে ক্যামেরা প্রদ্ধতিতে
বাঘ গণনা করে এর সংখ্যা নির্ধারণ করে ২০০টি। রাশিয়ার সেন্টপিটার্সবার্গ শহরে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব বাঘ সম্লেলনে ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুন করার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।জলবায়ু পরিবর্তনে পৃথিবীর ক্ষতিগ্রস্হ দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।জলবায়ু পরিবর্তনে অতিবৃষ্টি
ও অনাবৃষ্টি মানুষ সহ পশুপাখির দেশের দক্ষিণাঞ্চলে টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে।বনের পরিবেশ ভারসম্য রক্ষায় বাঘের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ।বাঘের সংখ্যা কমে গেলে বনের পরিবেশের ভারসম্য হারাবে। সময়ের সাথে সাথে বনাঞ্চল ধ্বংস কালোবাজারী ও চোরা কারবারীদের জন্য বাঘ হত্যা সহ বিভিন্ন কারণে এই সংখ্যা হ্রাস পেতে পেতে বর্তমানে বিশ্বের প্রায় চারহাজারটি বাঘের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে।দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকা ও পরিবেস রক্ষায় সুন্দরবনের টেকসই পরিবেশ তৈরী করতে হবে আর সুন্দরবন টেকসই করার জন্য বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ বিশ্ববিখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবন বিলুপ্ত হয়ে গেলে গোটা বাংলাদেশের প্রকৃতিক ভারসম্য নষ্ট হবে বহুলাংশে সে বাড়িয়ে দেবে প্রকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্খা।দির্ঘ মেয়াদী প্রকল্প নেওয়ার মাধ্যমে সুন্দরবনে অনেক সংখ্যাক বাঘ ছাড়া সম্ভব।অথচ সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা কমেই চলছে।এই অবস্হার মধ্যে আজ সুন্দরবন সন্নিহিত জেলাগুলোসহ সরকারী ও বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন সভা-সমাবেশ র্যালীসহ নানা কর্মসুচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.