|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বরিশালে কলেজ ছাএীর আত্মহত্যা প্রচারোনা মামলার আসামি গ্রেফতা-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১২ জুলাই, ২০২২
বরিশাল কোতোয়ালী থানায় আত্মহত্যার প্রচোনা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকিত পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার পূর্ব সোহাগদল ৭ নং ওয়ার্ড সোহাগদল ইউনিয়নের বাসিন্দা মাসুম বিল্লার ছেলে তাওসিফ আনাম রোহান(২০)তার নিজ বাসা থেকে বৃহস্পতিবার ৭ই জুলাই আনুমানিক রাত ২টার সময় তাকে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
সান-ই-জাহান জুয়েনা একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। সে যখন তার বাড়ির নিকটবর্তী স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমীতে লেখাপড়া করত তখন থেকেই একই এলাকার মোঃ মাসুম বিল্লাহ এর ছেলে রোহান তাঁকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতির মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দিত।
কিন্তু জুয়েনা সেই প্রস্তাবে সাড়া না দিলে রোহান জুয়েনার ভাইর ক্ষতি করবে বলে জানান। জুয়েনার মা একজন শিক্ষীকা মোসাঃ শিরিন,তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম্বার থেকে কল করে ভয়ভীতি সহ প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে, যার কারণে গত ১৫/০৩/২০২২ইং তারিখে নেছারাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি।ডায়েরী নং ৭৭৬ তারিখ ১৫/০৩/২০২২।
জুয়েনা যখন এসএসসি পাশ করে তখন তার বাবা মা তাকে সরকারি বরিশাল কলেজে ভর্তি করান। জুয়েনা আইনুন ভিলা ছাত্রীনিবাসে থাকতো।
ছাত্রীনিবাসে একই রুমে ৩ জন থাকলেও কোনো এক ইঙ্গিতে জুয়েনার সাথে কেহ কথা বলতো না। সবাই মিলে এমনকি কাজের বুয়া পর্যন্ত জুয়েনাকে মানসিক চাপে রাখতো বলে জানান জুয়েনার মা।
জুয়েনা আত্মহত্যা করেছে নাকি কারো প্ররোচনায় মানসম্মানের ভয়ে আত্মহত্যা করেছে এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মিস্র প্রতিক্রিয়া।
জুয়েনার মৃত্যুর পরে তার ২ টি মোবাইল ফোন এবং একটি ডায়েরী ও একটি বই জব্দ করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
জুয়েনার মা বলেন, মোবাইল ফোন ও ডায়েরীর ভিতরে মৃত্যুর আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা লিখে যায় জুয়েনা,যা কোতোয়ালি থানায় জব্দ আছে,
ঘটনার একমাস পরেও মামলা নিতে গরি মুশি করলে,
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন-সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মামলাটি এজাহার ভুক্ত হয়।
জুয়েনার একটি খাতায় লেখা আছে সে রোহান কে ঘৃণা করে, জুয়েনা তার মাকে বলে রোহান তাঁকে ভিডিও কলের মাধ্যমে সব সময় ভয়ভীতি দেখাতোএমনকি তার ভাইয়ের প্রাননাশের হুমকি দিত।
জুয়েনার মা বলেন রোহানের এই ধরনের কর্মকাণ্ডে এলাকার বন্ধুবান্ধব সহ ছাত্রীনিবাসের অনেকেই জড়িত ছিলেন। জুয়েনার মৃত্যুর জন্য রোহানই দায়ী।
বরিশাল কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়, জুয়েনার মা থানায় উপস্থিত হয়ে মোঃ তাওসিফ আনাম রোহান এর নামে আত্মহত্যা প্ররোচনা একটি মামলা দায়ের করেন। কোতোয়ালি মডেল থানা নং ১৬, মামলা নং জিআর/৫৩৭/২০২২ (IYNAF) ।
তিনি তার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচারের মাধ্যমে
শাস্তি দাবি করেছেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.