চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনাধনাগোদা সেচপ্রকল্পের আওতায় সুলতানাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়া গ্রামের আউশ ধান রোপণ করে বাড়ি না ফিরতেই পানিবন্ধি। তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের সদ্য রোপণ করা সপ্নগুলো। জানা যায়, সুলতানা বাদ ইউনিয়ন এর টরকি হাতিকাটায় অমৌসুমে নিষ্কাশন খালে বাধ দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করা ও ঠিকাদারের কর্তব্য অবহেলায় ব্রিজের কাজটি অত্যান্ত ধীরগতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। নিষ্কাষন খালে বাধ দেওয়ার ফলে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নিচু জমি গুলো তলিয়ে যাচ্ছে।
তাতুয়া গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদ হাসান মিঠু জানান, তাতুয়া এলাকার কৃষি জমির পানি খালে নামার পরিবর্তে উল্টো জমিতে উঠছে। ফলে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে আমাদের সপ্নগুলো। তিনি জানান আমি ২ একর জমিতে আউশধান রোপণ করি।কিন্তু বাড়ি না ফিরতেই আমার জমি পানি বন্ধি। আশেপাশে যারা রোপণ করেছে তাদের ও একই অবস্থা। ফলে ধান গুলো পঁচে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবগত করলে তিনি জানান রবিবারব ব্রিজের ঢালাই সম্পন্ন করে খালটি দ্রুত উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। কিন্তু রবিবার গত হয়ে গেছে, ঢালাই সম্পন্ন হয় নি।
এদিকে অত্র এলাকার অন্যান্য কৃষকরা জানান, অতিরিক্ত পানির কারণে আমরা জমিতে চাষ দিতে পারছি না। এদিকে চারার বয়স বেড়ে যাচ্ছে, মৌসুম ও পেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে আউশধান রোপণ নিয়ে আমরা চিন্তিত। আমরা সাধারণ কৃষক কৃষি কাজ করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে বাঁচতে চাই, সারা বছরই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে কৃষিতে টিকে থাকতে হয়। তারই মাঝে অমৌসুমে অপরিকল্পিতভাবে নিষ্কাশন খালে বাধ দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ ও কর্তব্য অবহেলা করে এমন কৃত্রিম দুর্যোগ সৃষ্টি করে আমাদের কর্ম গতিকে বাধাহীন করলে আমাদের আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।
এ বিষয়ে “কৃষি উদ্যোক্তা পরিষদ মতলব উত্তর উপজেলা” এর সদস্যরা বলেন, দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করে খালটি উন্মুক্ত করা হোক। ভবিষ্যতে যেন কোন এলাকায় বর্ষা মৌসুমে খালের উপর বাঁধ দিয়ে ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করে কৃষকদের কৃত্রিম দুর্যোগ এর সম্মুখীন হতে না হয় সেদিকে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।