|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
জিতুই শিক্ষক উৎপলকে হত্যা করেছে-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৫ জুলাই, ২০২২
সাভারে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা মামলার মূল আসামী আশরাফুল ইসলাম জিতুর বাবা মো. উজ্জ্বল হাজি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল কাজী আশরাফুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জবানবন্দিতে তার ছেলেই শিক্ষককে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন উজ্জল। তিনি বলেন, শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে জিতুই হত্যা করেছে। হত্যার পর স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের বলেছিলাম, এ নিয়ে থানা পুলিশ না করতে। এরপর আমি জিতুকে পাবনা পাঠিয়ে দিই।
তিনি আরও বলেন, জিতুর বিষয়ে শিক্ষক উৎপল আমা’র কাছে নালিশ করেছিলেন। আমি শিক্ষক উৎপলকে বলেছিলাম বিষয়টি দেখবো। ঘটনার দিন আমি স্কুলে গিয়ে বলেছিলাম থানা পুলিশ না করতে। পরে আমি জিতুকে আমার চান্দুরার বাড়িতে রাখি। পুলিশ অভিযান চালালে আমি তাকে পাবনা পাঠিয়ে দেই। আমি কুষ্টিয়ায় মুজাহিদের বাড়িতে চলে যাই। পুলিশ আমাকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে। জিতুই শিক্ষক উৎপলকে হত্যা করে।
এর আগে গত ২৯ জুন উজ্জ্বলের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এমদাদুল হক।
এ সময় আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’লন্দি দিতে সম্মত হওয়া তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক উজ্জ্বলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৫ জুন দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই শিক্ষকের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেনির ছাত্র জিতু। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জুন ভোরে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার মারা যান।
গত ২৬ জুন আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই অসীম কুমার সরকার বাদী হয়ে জিতুসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জিতুর বাবার পরদিন মূল আসামির জিতুরও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.